গাজায় ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে ১৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

ইসরাইলের অব্যাহত হামলা ও অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে চার শিশুও রয়েছে। গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে এ নিয়ে আনাহারে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০১ জনে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ জন অনাহারজনিত কারণে মারা গেছেন। এ নিয়ে গাজায় সামরিক অভিযান শুরুর পর অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১০১ জনে দাঁড়ালো। এরমধ্যে ৮০ জন শিশু।

কয়েকদিন ধরে না খেয়ে আছে গাজার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ: ডব্লিউএফপিকয়েকদিন ধরে না খেয়ে আছে গাজার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ: ডব্লিউএফপি
এই ঘোষণাটি এমন এক সময় এলো যখন ইসরাইলি বাহিনীর মঙ্গলবারের হামলায় কমপক্ষে ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ উপত্যকার পরিস্থিতিকে ‘মৃত্যু ও ধ্বংসের এক ভয়াবহ প্রদর্শনী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মাসের পর মাস ধরে চলা খাদ্য সংকট এখন আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

বুআল জাজিরা বলছে, অনাহারে ছয় ছয় সপ্তাহ বয়সী এক শিশুও মারা যায়। তার নাম ইউসুফ আবু জাহির। তার মৃত্যু হয় দুধের অভাবে। শিশুটির চাচা আদহাম আল-সাফাদি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘বাজারে কোথাও দুধ নেই, আর পাওয়া গেলেও একটি ছোট টিনের কৌটার দাম ১০০ ডলার পর্যন্ত।’

ইসরাইলের অবরোধের কারণে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই গাজায় ফুরিয়ে গেছে খাদ্যের মজুদ। মে মাসে আংশিক অবরোধ তুলে সীমিত ত্রাণ উপত্যকায় প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরাইল।

বর্তমানে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন। এই সংস্থার ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলি হামলার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন