ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জ অংশে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কাটিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছেন অলিপুরের মানুষ। হাইওয়ে পুলিশ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের উপস্থিতি এলাকাবাসীকে দিচ্ছে নিরাপত্তার নতুন আস্থা। মাধবপুর ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাজুড়ে গড়ে ওঠা পুরনো শিল্পাঞ্চলকে ঘিরে প্রতিদিন হাজারো শ্রমিক ও যানবাহনের চাপ তৈরি হয়। মহাসড়কের এ অংশের দুইপাশে রয়েছে প্রাণ-আরএফএল, স্কয়ার ডেনিম, বাদশা গ্রুপ, স্টার সিরামিকস, নেরোলাক পেইন্ট, আকিজ গ্রুপ, যমুনা গ্রুপ, বিএইচএল, ম্যাটাডোর ও তাপ্রিড কটনের মতো অন্তত দশটি বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। এসব কারখানায় প্রায় চল্লিশ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এর মধ্যে প্রাণ আরএফএলেই কর্মরত প্রায় ছাব্বিশ হাজার শ্রমিক প্রতিদিন আসা-যাওয়া করেন।কর্মী ও যানবাহনের চাপের কারণে অলিপুর এলাকা নিয়মিত যানজট, দুর্ঘটনা, চুরি-ছিনতাই ও দখলদারিত্বের অভিশাপে জর্জরিত ছিল।
এলাকাবাসীর দাবি ছিল-এখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের একটি ইউনিট স্থাপন জরুরি। অবশেষে হাইওয়ে পুলিশ সিলেট রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিমের উদ্যোগে মাত্র ৩৬ দিনে অলিপুরে গড়ে উঠেছে আধুনিক পুলিশি স্থাপনা। যা একসময়ের দখলদারদের বস্তি থেকে রূপ নিয়েছে দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামোয় স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান, পরিবহন মালিক ওব্যবসায়ীদের সহায়তায় পুরোপুরি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্মিত এ স্থাপনাকে এলাকাবাসী দেখছেন একটি বিরল ঘটনা হিসেবে।
এসপি রেজাউল করিম জানান, আগামী ২৪ আগস্ট আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে এ স্থাপনায় হাইওয়ে পুলিশ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের দুটি ক্যাম্প একযোগে কার্যক্রম শুরু করবে। এতে শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, স্থানীয়দের নিরাপত্তা ও শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। তিনি হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. দেলোয়ার হোসেন মিয়া ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি গাজী জসীম উদ্দীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্থানীয় শিল্প ও পরিবহন মালিকদের মতে, এ উদ্যোগ বাংলাদেশের নতুন পুলিশি ব্যবস্থার একটি দৃষ্টান্ত। তাঁরা এসপি রেজাউল করিমকে ‘নতুন বাংলাদেশের নতুন পুলিশি ব্যবস্থার রাহবার’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।