ডিএনএ পরীক্ষায় সন্তানের প্রমাণ, অবশেষে রিপন বিয়ে করলেন সেই তরুণীকে

ডিএনএ পরীক্ষায় মিল পাওয়ার পর অবশেষে ধর্ষিতা তরুণীকে বিয়ে করেছেন রিপন মিয়া। শুক্রবার (আগস্ট) রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের পর ছেলেসহ ওই প্রতিবন্ধী তরুণীকে নিয়ে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় নিজ গ্রামে ফিরে যান তিনি।

ঘটনার সূত্রপাত গত ১ মে। সেদিন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার প্রতিবন্ধী ওই তরুণী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে জানান, তাকে আটকে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবজাল হোসাইন ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন, তিনি ধর্ষণের শিকার এবং অন্তঃসত্ত্বা।

পরবর্তীতে তরুণী নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা (নং–২৬৮) দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় তার চাচা নুরুল ইসলাম, ফুফা নুর মোহাম্মদ ও ফুফাতো ভাই রিপন মিয়াকে। তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ সময় তরুণী একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।

পিবিআই-এর তত্ত্বাবধানে তিন আসামির ডিএনএ পরীক্ষা করা হলে রিপন মিয়ার ডিএনএ-ই নবজাতকের সাথে মিলে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীনের উদ্যোগে শুক্রবার রাতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় দেড় লাখ টাকা।

অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন বলেন, “আমি নিজেই বিয়েতে উপস্থিত ছিলাম। শুক্রবার রাতেই তাদের বিয়ে হয়েছে।” তবে উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবজাল হোসাইন জানিয়েছেন, তাকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি, শুধু শুনেছেন যে বিয়ে হয়েছে।

ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। স্থানীয়দের একাংশ মনে করছেন, বিয়ের মাধ্যমে তরুণীর সামাজিক স্বীকৃতি মিললেও আইনি প্রক্রিয়ার কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন