সিলেটে এখন পর্যন্ত ২৫ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ

সিলেটে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে সাড়ে ৬ লাখ ঘনফুট। আর বাকি পাথরগুলোও পর্যায়ক্রমে সেখানে পুনঃস্থাপন করা হবে। এদিকে নির্দেশনা পাওয়ার পরে পাথর নির্দিষ্ট স্থানে ফেরত দিচ্ছেন স্থানীয়রা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সোমবার পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। যার ১৩ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর ডাম্পিং স্ট্যান্ডে রয়েছে। আর এই সময়ে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে সাড়ে ৬ লাখ ঘনফুট। এদিকে সোমবার ডাম্পিং স্ট্যান্ডে দেড় লাখ ঘনফুট পাথর এসেছে এবং এরমধ্যে ৫৫ হাজার ঘনফুট পাথর পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিন মিয়া জানান, এখনপর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। আর পুনঃস্থাপন করা হয়েছে সাড়ে ৬ লাখ ঘনফুট। বাকি পাথরগুলোও পর্যায়ক্রমে সেখানে পুনঃস্থাপন করা হবে। আমাদের নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে যারা পাথর নিয়েছিল, তারা এখন নিজ উদ্যোগে রাতে পাথর দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আপাতত মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় দিয়েছি। এর পর থেকে আবারো অভিযানে নামবো। প্রতিদিনই পাথর দেওয়া শুরু করেছেন।

এর আগে গত শনিবার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার মধ্যে মজুত থাকা সাদা পাথর নিজ খরচে কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে প্রশাসনের কাছে জমা দিলে বিনা শর্তে দায়মুক্তি পাওয়া যাবে। এ সময়সীমার পর যাদের কাছে পাথর পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শনিবার বিকেল থেকে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে পাথর ফেরত দিয়ে দায়মুক্তি পাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ ঘোষণার পর রোববার ও সোমবার কোম্পানীগঞ্জসহ আশপাশের এলাকা থেকে অনেক মানুষ নিজ খরচে পাথর ভোলাগঞ্জে এনে জমা দিয়েছেন। ট্রাক, নৌকাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মজুতকারীরা এসব পাথর প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।

এদিকে, সোমবারও স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে লুট হওয়া পাথর ফেরত দিচ্ছেন। ট্রাকের মাধ্যমে ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর ঘাটে পাথর ডাম্পিং করা হচ্ছে এবং পরে নৌ শ্রমিকদের মাধ্যমে সেই পাথর সাদাপাথরের নির্দিষ্ট স্থানে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন