
ইনসেটে ইউএনও খোশনূর রুবাইয়াৎ
সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল ও লালবাগ এলাকায় সাঁড়াশি অভিযানে দেড় লাখ ঘনফুট সাদাপাথর উদ্ধার করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ এর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এ বিপুল পরিমাণ পাথর জব্দ করা হয়।
প্রশাসন জানায়, লুটেরারা চতুরতার সঙ্গে সড়কের ধারে, বাড়ির আঙিনায়, বালুর নিচে, এমনকি পুকুরের তলদেশেও পাথর মজুদ করে রেখেছিল। কিন্তু অভিযানকারীদের তৎপরতায় সব কৌশল ভেস্তে যায়। পাঁচটি পুকুর থেকে উদ্ধারকৃত পাথরের পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ ঘনফুট। প্রতিটি পুকুর যেন রূপ নিয়েছিল সাদাপাথরের খনিতে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকার মামুনুর রশিদ বলেন, “জব্দকৃত পাথর পর্যটনকেন্দ্রে পাঠানোর জন্য ধোপাগুল গেলে গোপন সূত্রে খবর পাই পার্শ্ববর্তী পুকুরগুলোতে পাথর লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে এস্কেভেটরের মাধ্যমে সেগুলো উদ্ধার করা হয়।”
লুটে জড়িত দেড় থেকে দুই হাজার লোক
ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকা থেকে পাথর লুটে দেড় থেকে দুই হাজার লোক জড়িত ছিল বলে হাই কোর্টে দাখিলকৃত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। খনিজ সম্পদ ও পরিবেশ সচিবের পক্ষ থেকে দাখিল করা এ প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট থেকে অজ্ঞাতনামা প্রায় দুই হাজার ব্যক্তি ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন করে নিয়ে যায়।
১৫ আগস্ট কোম্পানীগঞ্জ থানায় খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এবং দণ্ডবিধির ৩৭৯/৪৩১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য ২১ আগস্ট অতিরিক্ত সচিব (অপারেশন), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে আহ্বায়ক করে বুয়েটের একজন অধ্যাপকসহ ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রশাসনের কঠোর অভিযানে লুটের পাথর একে একে বেরিয়ে আসছে। স্থানীয় জনমনে স্বস্তি ফিরলেও, দখলদার চক্রের এমন বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে প্রশ্ন উঠছে—এতদিন কোথায় ছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ?