৩ কোটি টাকার ভাতা নিয়ে স্ত্রীকে ছেড়ে একা থাকার সিদ্ধান্ত স্বামীর

অবসরের পর প্রায় ৩ কোটি টাকার ভাতা নিয়ে স্ত্রীকে ছেড়ে একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন জাপানের তেতসু ইয়ামাদা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্তই তার জীবনে অনুশোচনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বুধবার (২০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।

৬০ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার পর ইয়ামাদা প্রস্তাব দেন স্ত্রী কেইকোকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সাদামাটা জীবনযাপনের। কিন্তু শহরের জীবনে অভ্যস্ত স্ত্রী এতে রাজি হননি। দুই ছেলে কর্মসূত্রে টোকিওতে থাকায় তারাও গ্রামে ফিরতে পারেনি।

দাম্পত্য টানাপোড়েনের মধ্যে কেইকো প্রস্তাব দেন ‘সোৎসুকন’-এর—জাপানি একটি ধারণা, যেখানে দম্পতি বিবাহিত থেকেও আলাদা থাকেন। বিচ্ছেদের চেয়ে সহজ ভেবে ইয়ামাদা এতে রাজি হয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান এবং ভাতা দিয়ে ঘরবাড়ি সংস্কার করেন।

কিন্তু একা থেকে তিনি দ্রুত সমস্যায় পড়েন। রান্নাবান্না ও ঘরের কাজ সামলাতে না পেরে দিন কাটতে থাকে ইনস্ট্যান্ট নুডলস ও হিমায়িত সবজিতে। অপরদিকে স্ত্রী কেইকো টোকিওতে হাতে বানানো জিনিসপত্রের একটি কর্মশালা চালু করে বেশ ভালোভাবে এগিয়ে যান। ইয়ামাদা পরে স্বীকার করেন, ‘আমার ছাড়া কেইকো খুব সুখেই আছে বলে মনে হচ্ছে।’

যদিও মাঝে মাঝে তারা অনলাইনে যোগাযোগ করেন, তবে ছেলেদের সঙ্গে ইয়ামাদার সম্পর্ক প্রায় ভেঙে গেছে। তিনি টোকিওতে ফিরবেন কি না, তা এখনও অনিশ্চিত।

ইয়ামাদার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘পরিবার ছেড়ে দ্বিতীয় জীবন শুরু করতে চেয়েছিলেন ইয়ামাদা, কিন্তু জীবনদক্ষতা না থাকায় তা এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।’ অন্য এক মন্তব্যে বলা হয়, ‘কেইকোকে শুভকামনা। এখন তিনি নিজের শখ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে পারেন।’

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন