চারদিন অপেক্ষার পর বাংলাদেশী যুবকের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সিলেটের কানাইঘটের ডোনা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশ লাশটি গ্রহণ করে।
নিহত আবদুর রহমান কানাইঘাট উপজেলার বড়চাতল পূর্ব গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে।
গত ২৯ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে ডোনা সীমান্তে ভারতের প্রায় ৩০০ গজ অভ্যন্তরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আবদুর রহমান। স্থানীয়দের অভিযোগ বিএসএফ’র গুলিতে আবদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে।
আবদুর রহমানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর মরদেহ হস্তান্তরের জন্য বিএসএফ’র কাছে বার্তা পাঠায় বিজিবি। কিন্তু ময়নাতদন্তের নামে লাশ হস্তান্তরে সময়ক্ষেপন করে বিএসএফ। অবশেষে সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সীমান্তের শূণ্যরেখায় কফিন বন্দি লাশ নিয়ে আসে বিএসএফ। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবি ও কানাইঘাট থানাপুলিশ লাশ হস্তান্তর করে।
কানাইঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল আউয়াল জানান, মরদেহ ফেরত দেওয়ার খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যা থেকেই বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্তে অপেক্ষায় ছিলেন। গভীর রাতে বিএসএফ ও মেঘালয় পুলিশ কফিনবন্দি মরদেহ নিয়ে আসে। বিজিবির উপস্থিতিতে কানাইঘাট থানা পুলিশ মরদেহ গ্রহণ করে। পরে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তা নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।