ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ‘সোনার পুতুল’ কিনতে যাওয়া ৫ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ২০টি নকল স্বর্ণমুদ্রা এবং ৫টি নকল স্বর্ণের পুতুল।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের কোচল গ্রামের এক বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। রাণীশংকৈল থানার ওসি আরশেদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- পার্বতীপুরের গরেলপাড়া গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩৮), তার ভাই হোমিও চিকিৎসক শফিক আল মামুন (৪৮), একই গ্রামের তাজউদ্দীনের ছেলে মানিক মিয়া (৩৮), একই গ্রামের মনতাজ আলীর ছেলে ফরহাদ আলী (২৭), একই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে ইছাব্বর আলী (৫০)। তারা সবাই দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে হোমিও চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম পরিচিত হন রাণীশংকৈল উপজেলার কোচল গ্রামের এক নারী ফাতেমা বেগমের সঙ্গে। ফাতেমা তাকে স্বর্ণমুদ্রা ও সোনার পুতুল বিক্রির প্রলোভন দেখান। সেই সূত্রে সোমবার দুপুরে রাশেদুল ও তার সঙ্গীরা পীরগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে রুবেল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে যান। তাদের ঘরে বসিয়ে রুবেলের স্ত্রী নাশতা আনার কথা বলে বাইরে চলে যান। কিছুক্ষণ পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাড়ির ভেতর থেকে তাদের আটক করে। এ সময় ঘর তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ২০টি নকল স্বর্ণমুদ্রা ও ৫টি নকল সোনার পুতুল।
ওসি আরশেদুল হক আরও বলেন, আটক ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। আজ সকালে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।