৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছেন ভারতের পাঞ্জাব। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে এবং পানির নিচে তলিয়ে গেছে ১ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর কৃষিজমি।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
পাঞ্জাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাঞ্জাবে কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহতম এই বন্যায় রাজ্যের ২৩ জেলার ১ হাজার ৯৯৬টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৭ হাজার। হোশিয়ারপুর ও অমৃতসরে সর্বোচ্চ সাতজন করে নিহত হয়েছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারী বর্ষণ ও প্রতিবেশী হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরের পাহাড়ি এলাকায় নদীর উজানে প্রবল স্রোতের কারণে পাঞ্জাবের শতদ্রু, বিয়াস ও রাভি নদীসহ মৌসুমি নদীগুলো ফুলে-ফেঁপে উঠেছে।
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হারপাল সিং চীমা একে ‘পাঁচ দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা’ বলে উল্লেখ করে জানান, কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, পাশাপাশি ঘরবাড়ি, অবকাঠামো ও গবাদিপশুরও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৮৫৪ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যজুড়ে ২০০টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন সাত হাজারের বেশি মানুষ।
তবে, বন্যার কারণ হিসেবে অবৈধ খননকে দায়ী করার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে আক্রমণ করেছে আম আদমি পার্টি (আপ)। তারা অভিযোগ করেছে, বিজেপি নেতারা বন্যা দুর্গত এলাকায় গিয়ে শুধু ছবি তোলেন, কিন্তু কোনো আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা দেন না।
পাঞ্জাব সরকার জানিয়েছে, রাজ্যজুড়ে ২৪টি এনডিআরএফ দল, দুটি এসডিআরএফ দল এবং ১৪৪টি নৌকা দিয়ে উদ্ধারকাজ চলছে।