শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে সবসময় ক্লান্ত বোধ করা, মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, সহজেই ক্ষত হওয়া উল্লেখযোগ্য । ভিটামিন সি পানিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন । তাই, শরীর এটি সংরক্ষণ করতে পারে না । এমন পরিস্থিতিতে, প্রতিদিন খাদ্যের মাধ্যমে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যতালিকায় কিছু পানীয় যোগ করলে শরীরে প্রতিদিনের ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ হবে। যেমন-
কমলার রস: কমলার রস ভিটামিন সি-এর উল্লেখযোগ্য উৎস। প্রতিদিন মাত্র এক গ্লাস কমলার রস পান করে আপনার ভিটামিন সি-এর দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করতে পারেন ৷ এটি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী বাড়ে। ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং শরীরে আয়রন শোষণও বৃদ্ধি পায়। সকালের নাশতায় তাজা কমলার রস পান করা ভালো।
আমলকির রস: আমলকি ভিটামিন সি-এর সবচেয়ে ভালো উৎস। একটি আমলকিতে কমলার চেয়ে ২০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে । এর রস পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হজমশক্তি উন্নত হয়, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায় এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত হয় । আমলকির রস মধু বা লবণের সঙ্গে মিশিয়ে পান করা যেতে পারে । সকালে খালি পেটে এটি পান করা আরও উপকারী ।
কিউই স্মুদি: কিউইয়ে কমলার চেয়ে বেশি ভিটামিন সি থাকে। এটি হৃদরোগের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে । এছাড়াও, এটি হজমশক্তি উন্নত করে এবং চোখের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন কিউই জুস পান করলে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও বাড়ে।
লেবুর পানি: লেবুর রস ভিটামিন-সি-র একটি ভালো উৎস । এটি পান করলে শরীর হাইড্রেট হয় এবং ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে । লেবুর রস লিভারকে ডিটক্সিফাই করতেও সাহায্য করে। লেবুর জল ত্বকের জন্যও খুবই উপকারী। হালকা গরম পানিতে লেবু ছেঁকে সকালে খালি পেটে পান করুন। চাইলে এতে মধুও যোগ করতে পারেন।
টমেটোর রস: টমেটোতে থাকা ভিটামিন-সি এবং লাইকোপিন শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট । এর রস পান করলে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে । এছাড়াও, এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে । এছাড়াও, এটি ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিও কমায় ।