হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কৃতিসন্তান,পদক্ষেপ গণপাঠাগারের সভাপতি এবং মেধাবী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা মোর্শেদ সম্প্রতি সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেছেন। তার এ অর্জন শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং পুরো উপজেলার মানুষের জন্য এক গৌরবের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শৈশব থেকেই তিনি মেধা, সততা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে আসছেন। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে কৃতিত্বের ছাপ রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে ২৪তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন। যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও কর্মদক্ষতার কারণে দীর্ঘ কর্মজীবনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার প্রশংসিত হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে যুগ্ম সচিব পদে উন্নীত করা হলো। প্রশাসনিক দায়িত্বের পাশাপাশি সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় তিনি।
চুনারুঘাট পদক্ষেপ গণপাঠাগারের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বইপাঠের প্রচলন, তরুণদের মধ্যে জ্ঞানচর্চা বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে পাঠাগারটি এখন শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, বরং এলাকাবাসীর প্রেরণার উৎসে পরিণত হয়েছে। তার পদোন্নতির খবরে চুনারুঘাটজুড়ে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছার বার্তায় ভরে ওঠে।
এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা জানান, এটি আমাদের উপজেলার জন্য এক গৌরবের অর্জন। আশা করি তিনি নতুন দায়িত্বেও সততা ও নিষ্ঠার সাথে দেশ ও জাতির সেবায় অবদান রাখবেন।
প্রতিক্রিয়ায় মোস্তফা মোর্শেদ বলেন, এই পদোন্নতি আমার জীবনে নতুন দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করতে। সামনেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। চুনারুঘাট আমার জন্মভূমি-এ এলাকার মানুষের দোয়া ও ভালোবাসাই আমার প্রেরণা। চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামের আবদুল হাইয়ের পুত্র মোস্তফা মোর্শেদ প্রমাণ করেছেন-যোগ্যতা, সততা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে উন্নীত হওয়া সম্ভব। তার এই সাফল্য নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং চুনারুঘাটকে জাতীয় পরিসরে আরও মর্যাদাপূর্ণ করে তুলবে বলে এলাকাবাসীর আশা।