ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে

ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের নিয়ম কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। লেবার পার্টির লিভারপুল সম্মেলনে তিনি এই নীতি তুলে ধরে নিজেকে ‘কঠোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’ হিসেবে অভিহিত করেন।

নতুন নীতি অনুযায়ী, স্থায়ী বসবাসের জন্য আগ্রহী অভিবাসীদের উচ্চমানের ইংরেজি শেখা, অপরাধমুক্ত থাকা, স্থানীয় কমিউনিটিতে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে যুক্ত হওয়া, চাকরির পাশাপাশি জাতীয় বিমায় অর্থ প্রদান করা এবং সরকারি সুবিধার ওপর নির্ভর না করার শর্ত মানতে হবে। একইসঙ্গে স্থায়ী বসবাসের জন্য অপেক্ষার সময়সীমা বাড়িয়ে ৫ বছর থেকে ১০ বছর করা হতে পারে।

শাবানা মাহমুদ বলেন, “আমার কিছু সিদ্ধান্ত লেবারের ভেতরেই অনেকের পছন্দ হবে না, তবে আমি ব্রিটেনের নিজস্ব ভিশনের জন্য লড়ছি।” তিনি সীমান্ত নিরাপত্তা ও ন্যায়সংগত অভিবাসনকে একটি সহনশীল ব্রিটেনের জন্য অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার অভিবাসন ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, বৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের বহিষ্কার করার পরিকল্পনা দেশকে ছিন্নভিন্ন করে দেবে। তিনি নাইজেল ফারাজের প্রস্তাবকে ‘বর্ণবাদী ও অনৈতিক’ আখ্যা দেন।

তবে নতুন নীতির সমালোচনাও হচ্ছে। ব্রিটিশ রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান এনভার সলোমন বলেন, এসব শর্ত অভিবাসীদের অন্তর্ভুক্তির পরিবর্তে দেশের জন্য নতুন সমস্যা সৃষ্টি করবে। তার মতে, বহু শরণার্থী চিকিৎসক, উদ্যোক্তা হয়ে ব্রিটিশ সমাজে অবদান রেখেছেন, যা প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রীয় সহায়তা ছাড়া সম্ভব হতো না।

প্র্যাক্সিসের প্রধান মিনিই রহমানও সমালোচনা করে বলেন, এই নীতি সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করবে এবং স্বেচ্ছাসেবাকে বাধ্যতামূলক করা বৈষম্যকে আরও বাড়াবে।

ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, এ বিষয়ে শিগগিরই পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিশেষ করে অতীতে সরকারি ভাতা গ্রহণকারী অভিবাসীদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন