ব্রিটেনে যারা ইতোমধ্যে ওয়ার্কপার্মিটে আছেন তারা ৫ বছরে স্থায়ী হতে পারবেন

ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের নিয়ম কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। লেবার পার্টির লিভারপুল সম্মেলনে তিনি এই নীতি তুলে ধরে নিজেকে ‘কঠোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে ইতোমধ্যে যারা ওয়ার্কপার্মিট বা অন্যান্য বৈধ ভিসায় ব্রিটেনে অবস্থান করছেন, তাদের ক্ষেত্রে পূর্বের আইন বহাল থাকবে। ফলে তারা আগের নিয়মেই ৫ বছর পর স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাবেন। হোম অফিসের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শাবানা মাহমুদের ঘোষিত নতুন নীতিতে অভিবাসীদের জন্য কঠোর কিছু শর্ত যোগ করা হয়েছে। স্থায়ী হতে হলে উচ্চমানের ইংরেজি শেখা, অপরাধমুক্ত থাকা, স্থানীয় কমিউনিটিতে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে যুক্ত হওয়া, চাকরির পাশাপাশি জাতীয় বিমায় অর্থ প্রদান করা এবং সরকারি সুবিধার ওপর নির্ভর না করার শর্ত মানতে হবে। এছাড়া স্থায়ী বসবাসের জন্য অপেক্ষার সময়সীমা বাড়িয়ে ৫ বছর থেকে ১০ বছর করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

নতুন আইন কার্যকর হওয়ার আগে যারা ইতোমধ্যে ওয়ার্কপার্মিট বা অন্যান্য ভিসায় ব্রিটেনে এসেছেন, তাদের ক্ষেত্রে নতুন শর্ত প্রযোজ্য হবে না। তারা বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ বছর পূর্ণ করলে স্থায়ী আবাসনের আবেদন করতে পারবেন। অভিবাসীদের একটি বড় অংশের জন্য এটি স্বস্তির খবর হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নতুন নীতি নিয়ে দেশটিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ব্রিটিশ রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান এনভার সলোমন জানিয়েছেন, শর্তগুলো শরণার্থীদের অন্তর্ভুক্তির পরিবর্তে সমাজে নতুন সমস্যা তৈরি করবে। তার মতে, বহু শরণার্থী চিকিৎসক ও উদ্যোক্তা হয়ে ব্রিটিশ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, যা শুরুতে সরকারি সহায়তা ছাড়া সম্ভব হতো না।
প্র্যাক্সিসের প্রধান মিনিই রহমান বলেন, স্বেচ্ছাসেবাকে বাধ্যতামূলক করা বৈষম্য বাড়াবে এবং সমাজে বিভাজন তৈরি করবে।

ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, শিগগিরই এ বিষয়ে পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিশেষ করে অতীতে সরকারি ভাতা নেওয়া অভিবাসীদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ তার বক্তব্যে দেশপ্রেমকে ইতিবাচক শক্তি হিসেবে তুলে ধরে বলেন, “ন্যায়সংগত অভিবাসন ও সীমান্ত নিরাপত্তা সহনশীল ব্রিটেনের জন্য অপরিহার্য।”

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন