সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা পুলিশের আচরণগত পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছি। এক সময় সিলেটসহ বাংলাদেশের পুলিশ লন্ডন পুলিশের মতো হবে, আমি সেই স্বপ্ন দেখি।’
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে জিনিয়া অ্যাপস উদ্বোধন উপলক্ষে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন।
এসএমপি কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বলেন, ‘এই অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিকরা সহজেই পুলিশের সহায়তা পাবে এবং বিভিন্ন জরুরি সেবার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হতে পারবেন।
অপরাধ রোধে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে মোবাইল চুরি একটি বড় সমস্যা, তবে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে এবং অপরাধীদের তথ্য জানাতে নাগরিকদের উৎসাহিত করছে।’
সিলেটের নিরাপত্তাব্যবস্থার আধুনিকায়নে নগরের সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে জানিয়ে কমিশনার বলেন, ‘পুরো নগরকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে এবং এআইভিত্তিক এনালাইসিসের মাধ্যমে তা মনিটর করা হবে। ফলে নগরের প্রতিটি প্রান্তে পুলিশের নজরদারি থাকবে, বিশেষত স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
সিলেটে চলমান ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে আগের মতো নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে অভিযান না করলেও, সন্ধ্যার পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।
পুলিশ কমিশনার জানান, আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে সিলেটের মোগলাবাজার থানায় অ্যাপটির কার্যক্রম শুরু হবে এবং এক মাসের মধ্যে পুরো সিলেট নগরের সব থানায় এটি চালু করা হবে। অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের জন্য সহজে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করবে, বিশেষ করে এসওএস বাটন ব্যবহার করে যেকোনো বিপদে পুলিশের সহায়তা পাওয়া যাবে। একটি ক্লিকেই সংশ্লিষ্ট থানায় নোটিফিকেশন যাবে এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে।তিনি আরো জানান, অ্যাপটি প্লে-স্টোর ও আই-স্টোরে পাওয়া যাবে।
এটি সিলেটের সব নাগরিকের জন্য একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা টুল হয়ে উঠবে। অ্যাপটির মাধ্যমে জিডি, মামলা, তথ্য প্রদান, আইনি পরামর্শসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিস এবং যানজট সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করা হবে।