প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে করেছিলেন লামিয়া আক্তার বর্ষা (২২)। কিন্তু তিন মাস না যেতেই শেষ হলো সেই স্বপ্নের সংসার। বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল শহরের আল মাদানী সড়কের একটি বাসা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে বিষয়টি জানতে পারেন।
পরে পুলিশ গিয়ে ঘরের খাটের ওপর বর্ষার নিথর দেহ দেখতে পায়। পাশের বাসার দরজা খোলা, তবে শ্বশুরবাড়ির কেউ সেখানে ছিলেন না। স্থানীয়রা বলছেন, ঘটনার পর তারা সবাই পালিয়ে গেছেন। লামিয়ার বাবা মো. বেলায়েত খান বলেন, বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে নির্যাতন করত তারা। ফোনে কেঁদে বলত, ‘বাবা, ওরা আমাকে মারে।’ রাতে অসুস্থ বলায় দেখতে যাই, গিয়ে দেখি মেয়েটা মৃত অবস্থায় খাটে পড়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা ও তাঁর স্বামী সিয়ামের মধ্যে বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ চলছিল। মাঝেমধ্যে ঝগড়া, কান্না, পরে আবার মিল হতো।আর এভাবেই কেটে যাচ্ছিল তাদের সংসার। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে সব শেষ হয়ে গেল।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। ঘটনার পর থেকে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক।