ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ কি সমতা ফেরাতে পারবে?

আবুধাবির জায়েদ স্টেডিয়ামে শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের হারের ক্ষত ভুলে সিরিজে সমতা ফেরাতে বদ্ধপরিকর মেহেদী হাসান মিরাজের দল। অপর দিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে এখন আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ওয়ানডে দেখাবে টি স্পোর্টস ও নাগরিক টিভি।

টি–টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে দাপুটে জয়ের পর ওয়ানডেতেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রত্যাশা ছিল লাল-সবুজদের। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ম্যাচে সেটা হয়নি। হারতে হয়েছে ৫ উইকেটে।

তার পরও দলকে শান্ত থাকতে বলছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ভাষায়, ‘ভয়ের কিছু নেই। এই ফরম্যাটটা আমাদের শক্তির জায়গা। আমরা জানি কোথায় ভুল হয়েছে, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে আরও ভালো করতে হবে।’

প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ধসের চেনা দৃশ্যই দেখা যায় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে! ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয়ের ১০১ রানের জুটিতে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। কিন্তু হৃদয়ের ৫৬ রানের ইনিংস রানআউটে শেষ হতেই আবারও ধস নামে ইনিংসে। শেষ ছয় উইকেট পড়ে মাত্র ৬৭ রানে। তাতে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

৬০ রান করে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন মিরাজই। কিন্তু সেটাও জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। আফগানিস্তান লক্ষ্য তাড়া করে জেতে ৫ উইকেটে।

ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেছিলেন, ‘আমরা জানতাম অন্তত ৪০ রান কম করেছি। এই উইকেটে যদি ২৬০–এর বেশি করতে পারতাম, তাহলে ফল অন্যরকম হতে পারতো। আমাদের বোলিং ইউনিট ভালো, রান দিচ্ছে না। সমস্যা হচ্ছে ইনিংসের শেষ দিকে—সেখানে পার্টনারশিপ দরকার।’

এখন পর্যন্ত দুই দল ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে ২০ বার। এর মধ্যে ১১ বার জিতেছে বাংলাদেশ, ৯ বার আফগানিস্তান। সর্বশেষ ২০২৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে আফগানরা। তার আগের বছরও সিরিজ জিতেছিল তারা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেই পরিসংখ্যান বদলাতেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেটা করতে দলে প্রয়োজন ধারাবাহিক পারফরমার। গত ১২ মাসে দলটির জয় মাত্র দুটি। বুধবার শুরুটা ভালো হলেও আলগা শট খেলে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন ব্যাটাররা। চতুর্থ উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়লেও রশিদের নিখুঁত লাইন-লেংথে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী ও নুরুল হাসানরা রশিদের শিকার হন এলবিডাব্লিউতে।

তাছাড়া আবুধাবির কন্ডিশনও বাংলাদেশকে ভালোভাবে বুঝতে হবে। আফগানিস্তান চার স্পিনার খেলিয়ে সফল হলেও বাংলাদেশ লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনকে খেলায়নি। সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে এসব প্রশ্নের উত্তর-ই খুঁজতে হবে মিরাজদের।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন