দক্ষিণ সুনামগঞ্জের দরগাপাশায় জিআর’এর চাল বিতরণে অনিয়ম
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ মে ২০১৭, ৭:১৬ অপরাহ্ণ
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
অকাল বন্যায় ভেসে গেছে ফসল। গৃহস্থ থেকে শুরু করে সাধারণ কৃষক কাহারো ঘরে নেই খাবার। কেনার মতো সাধ এবং সাধ্য না থাকায় সরকারি ত্রানের লাইনে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দাড়িয়ে চালও পাচ্ছেনা। হাওরাঞ্চলে কৃষকের কোন কাজ নেই। সবাই এখন বেকার। হাওরের পানিতে এমোনিয়া গ্যাসের কারণে মাছও মরে বংশ বিস্তার বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে হাওরের জেলেরাও মাছ পাচ্ছে না। এখন হাওরাঞ্চলের প্রতিনি পরিবারে চলছে খাবারের জন্য হাহাকার। অকাল বন্যায় ফসলহারা কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার সারাদেশে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি ওএমএস,জিআর,ভিজিডি,ভিজিএফ কার্যক্রম চালু করেছে।
সরেজমিনে রবিবার সকাল ১১টায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হলে দেখা যায়, হতদরিদ্র পুরুষ-মহিলাদের দীর্ঘ লাইন। সরকারি ২শ জন ব্যক্তির নামে বরাদ্দ জিআর এর চাল বিতরণের অপেক্ষায় প্রায় ৫শ জন লোকের লাইন। জনপ্রতি ১০ কেজি চাল পাওয়ায় আশায় পাইকাপন,ইসলামপুর,মৌগাঁও,সিচনী এলাকা থেকে এসেছেন কাচা মিয়া,নুর জাহান বেগম,জুবেদা বেগম,হেলেনা বেগম সহ অসখ্য নি¤œ আয়ের মানুষ। তাহাদের অভিযোগ আমরা চাল পাচ্ছিনা। চেয়ারম্যান,মেম্বার মিলে তাহাদের পরিচিত ও যারা নির্বাচনের সময় তাদের পক্ষে কাজ করেছে তাহাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে ওএমএস,জিআর,ভিজিডি,ভিজিএফ এর সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। যারা সুফল ভোগ করার কথা,তারা সুফল ভোগ করতে পারছে না। অনেকের মতে চাল বিতরণ সুষ্ঠু ভাবে হচ্ছে না। ১০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও চাল পাচ্ছি ৮/৯ কেজি।
মৌগাঁও গ্রামের কাঁচা মিয়া জানান, সকাল ১০টায় চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন, ট্যাগ অফিসার নিতিশ চন্দ্র বর্মন না আসায় চাল বিতরণ করা বন্ধ আছে।পরে দুপুর ২টায় চেয়ারম্যান ও ট্যাগ অফিসার এসে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণ শুরু হয়।
দুপুর ৩ টায় দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ কালে তিনি বলেন,আমি অনে অফিসৌ আইসি,চাউল ভাটিরাম,খত সময় ফরে শেষ অইজিব।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর কবির বলেন, আমি ট্রাগ অফিসারকে পাঠিয়েছি। চাউল বিতরণ শুরু করার জন্য বলে দিয়েছি।