শাম্মী বেগমের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিত মানববন্ধন

দৈনিক সিলেট ডট কম
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
জেলার রাজনগরের তারা পাশা স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শাম্মী বেগমকে গণধর্ষনের পর হত্যার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে ফাঁসির দাবিতে উপজেলার ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকাসহ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। এ মানববন্ধনে অংশ নেন শাম্মীর মা নাছিমা বেগম ও বাবা হারুন মিয়া।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুর ১২টা উপজেলার টেংরা বাজার এলাকায় শহীদ সুদর্শন উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলকলি কেজি এন্ড হাই স্কুল এবং টেংরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকাসহ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টেংরা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রিপন আহমদ, শহীদ সুদর্শন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওয়াহিদুর রহমান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাদিকুর রহমান রুমান, আব্দুল মোমিন মিয়া, শ্যামাপদ পাল শিমু, টেংরা বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু রবেন্ড বর্দন, রাজনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শেখ রেহান উদ্দিন জুবেল, রাজনগর ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাহি খান ও সহ-সভাপতি রিপন দেব প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে টয়লেটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হলে সে আর ঘরে ফিরে না আসছে দেখলে পরিবারের লোকজন চারিদিকে খোঁজাখুজি শুরু করেন। পরদিন শুক্রবার ১৯ মে সকালে বাড়ি থেকে একটু দুরের এক জঙ্গলে শাম্মী বেগমের লাশ পাওয়া যায়। নিহত শাম্মী বেগমের পিতা হারুন মিয়া রাজনগর থানায় একটি মামলা (নং ২২ তাং ১৯/০৫/১৭) দায়ের করলে উপজেলার করিমপুর মোকাম বাড়ী গ্রামের তমজির আলীর ছেলে বরকত হোসেন সুমন (২৩), সোনাটিকি গ্রামের মকা মিয়ার ছেলে মাজহার মিয়া (২৫), কাছাড়ী গ্রামের মকবুল মিয়ার ছেলে মো. দিপু মিয়া (২৫) ও আব্দুল গনির পুত্র আকলুম মিয়া (২০)কে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের শনিবার (২০ মে) জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃত এই চারজনই শাম্মী বেগমের প্রেমিক ছিলেন।
শাম্মী বেগমকে তার কথিত এই ৪ প্রেমিকরাই পরিকল্পিতভাবে জঙ্গলে নিয়ে হত্যা করেছে বলে রোববার মৌলভীবাজার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আলকুম মিয়া স্বীকার করেছেন।
আলকুম আদালতকে জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তারা চারজন মিলে শাম্মীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তাকে জঙ্গলে নিয়ে চারজন মিলেই হত্যা করে।