কানাইঘাটে ইউপি সদস্য শ্রীঘরে
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মে ২০১৭, ২:২৫ অপরাহ্ণ
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাটে মদ খেয়ে থানায় এসে মাতলামির দায়ে এক ইউপি সদস্য শ্রীঘরে।
মঙ্গলবার বিকেল ২টায় পবিত্র রমজান মাসে মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় কানাইঘাট থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে মাতলামি করার সময় রাজাগঞ্জ ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিনকে আটক করে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল ২টায় মাতাল অবস্থায় ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিন থানার ডিউটিরত এএসআই সোলায়মান কবিরের কক্ষে এসে মাতলামি শুরু করেন। এ সময় তার মুখ থেকে মদের দুর্গন্ধ বের হলে ডিউটি অফিসার সোলায়মান কবির ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিনকে আটক করে রাখেন। পরে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদের নির্দেশে ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করা হলে মদ পান করেছে মর্মে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দেন। চিকিৎসা শেষে এ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করে থানা হাজতে রাখে পুলিশ। জানা গেছে মাদক সেবনের দায়ে গ্রেফতার ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিন একই ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মিনহাজ উদ্দিন কর্তৃক কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ এক্সলেভটর দিয়ে করে ভূয়া শ্রমিকের তালিকা তৈরি করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা এবং কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম দুর্নীতি করলে এ বিষয়টি ওয়ার্ডের লোকজন থানা পুলিশকে অবহিত করেন। ইউপি সদস্য মিনহাজ উদ্দিনের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে থানায় এসে মাতাল অবস্থায় তদবির করার সময় ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিনকে আটক করা হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ফখর উদ্দিন সব সময় নেশাগ্রস্ত থাকে এবং নানা অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে সে জড়িত। ইউপি সদস্য মিনহাজ উদ্দিন কর্তৃক কর্মসৃজন প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজে অনিয়মের অভিযোগ এনে ওয়ার্ডের লোকজন গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপরদিকে গত সোমবার গভীর রাতে কানাইঘাট থানার এস.আই অজিত কুমার তালুকদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাতবাঁক ইউপির ভবানীগঞ্জ বাজারের পাশর্^বর্তী এলাকা থেকে মদ পান করে মাতাল অবস্থায় ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো দাবাধরনির মাটি গ্রামের আব্দুল মালিকের পুত্র এলাকার চিহ্নিত অপরাধী বাবুল আহমদ @ মিকির বাবুল, জুলাই মাঝরচটি গ্রামের মৃত মালিকের পুত্র হোসাইন আহমদ, দর্পনগর পশ্চিম গ্রামের তজম্মুল আলীর পুত্র শফিকুর রহমান, ধনমাইরমাটি গ্রামের আলা উদ্দিনের পুত্র পারবুল আহমদ।