ধানের শীষ কোনো ব্যক্তির নয়। ধানের শীষ দেশের মানুষের সার্বিক মুক্তি আর উন্নয়নের প্রতীক বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কৃষকদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো নিজ নির্বাচনী এলাকা তাহিরপুরে আসেন। সেখানে পৌঁছলে পথে পথে হাজার হাজার মানুষের উষ্ণ ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন।
সুনামগঞ্জ থেকে সড়ক পথে নিজ উপজেলা তাহিরপুর যাওয়ার পথে বালিজুরী থেকেই হাজারো মানুষ পথে পথে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। পরে হাজার হাজার মানুষ মিছিল সহকারে তাহিরপুর পূর্ববাজারে পথ সভায় মিলিত হয়।
সভায় আনিসুল হক বলেন, দীর্ঘ সতোরো বছর হাজার হাজার মানুষ শহিদ হয়েছেন, লাখো মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অসংখ্য দলীয় নেতাকর্মী ও নাগরিকরা গুমের শিকার হয়েছেন। অসংখ্য মানুষের তাজা রক্তের বিনিময় ও নির্মম নির্যাতন সহে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। সকল শহিদ ও সতেরো বছর ধরে নির্যাতীত সকল পরিবারকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বক্তব্য শুরু করেন।
পথসভায় তাহিরপুর উপজেলার বিএনপি আহবায়ক বাদল মিয়া সভাপতিত্বে আনিসুল হক বলেন,ধানের শীষ কোনো ব্যক্তির নয়। ধানের শীষ দেশের মানুষের সার্বিক মুক্তি আর উন্নয়নের প্রতীক। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে ধানের শীষের বিজয় তুলে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন,দলের কেউ বা এ এলাকার কোনো নাগরিক আমার কাছ থেকে বৈষম্যের শিকার হবেন না। নির্বাচনী এলাকায় আইনের শাসন, মানবাধিকার, কর্মসংস্থান, কৃষি ও শিক্ষা বিস্তারে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পথসভায় মিলিত হওয়ার আগে আনিসুল হক মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুলের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মায়ের কাছে গিয়ে দোয়া চাইতে যান।
পথ সভায় নির্বাচনী এলাকার বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চারটি উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-১ নির্বাচনী এলাকাটি সিলেট বিভাগের প্রথম এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নির্বাচনী এলাকা। এটি ধর্মপাশা,জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত। হাওর বেষ্টিত মেঘালয় সীমান্ত সংলগ্ন এই নির্বাচনী এলাকাটি মৎস্য, পাথর, বালু, ধান ও পর্যটন সমৃদ্ধ এলাকা।
