ধোপাজান-চলতি নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকবে: সুনামগঞ্জ ডিসি


সুনামগঞ্জের ধোপাজান-চলতি নদীতে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা পর্যন্ত, যে কোনো ধরনের বালু উত্তোলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।

তিনি রবিবার দুপুরে নিজ কায্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা অবনতি হউক কারোর কাম্য নয়। বিআইডব্লিউটিএ লিমপিড নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে বালু উত্তোলন জন্য নিদর্শনা দিয়ে ছিল। যেহেতু সরকারী একটি দপ্তর এই নিদেশনা দিয়েছিল তাই স্থানীর প্রশাসন এই বিষয় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমাদের কোর কমিটির মিটিং এ সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটলিয়ন বিজিবির সিও বলেছেন বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে আইনশৃঙ্খলা অবনতি হবে,তাই সর্বসম্মতিক্রমে ধোপাজান-চলতি নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকবে। এবং বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এসময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন ও প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য,সুনামগঞ্জে ধোপাজান চলতি নদীতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) থেকে ১ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার ঘনফুট ভিট বালু উত্তোলন করার অনুমতি পায় লিমপিড ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে ড্রেজার বসিয়ে ভিট বালু উত্তোলনের নামে লুট হচ্ছে সিলিকা বালু। প্রকাশ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু লুটের কারনে পরিবেশ প্রতিবেশ সংকটাপন্ন হয়ে উঠছে। ফুঁসে উঠেছেন পরিবেশবাদী সংগঠন ও এলাকাবাসী। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজনসহ বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন করে এবং মামলাও হয় আদালতে।

এলাকাবাসীর ধারণা চলতি বছরের ১২ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত টোকেন দিয়ে ভিট বালুর নামে শতকোটি টাকার সিলিকা বালু লুট করে লিমপিড ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

অন্যদিকে,বালু লুটের কারনে নদীর দুই পাড় ভাঙ্গছে, মসজিদ, মাদ্রাসা পড়েছে হুমকির মুখে। গ্রামের পর গ্রাম পড়েছে ভাঙনের মুখে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন