২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ মো. সোহাগ মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের গোলামীপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে লাশটি তোলা হয়।
জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ঢাকার বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে আদালতের নির্দেশে সোহাগের লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে ডিবির একটি টিম ছুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে লাশটি মর্গে পাঠায়।
লাশ উত্তোলনের পুরো প্রক্রিয়াটি তত্ত্বাবধান করেন জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুশফিকীন নূর। এ সময় ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিল।
শহীদ সোহাগের বড় ভাই বিল্লাল মিয়া বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর ৯ আগস্ট আমি বাদী হয়ে ঢাকার বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করি। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি। ময়নাতদন্তের জন্য আজ লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।”
এব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট জুলাই-গনঅভ্যুত্থানে নিহত জামালগঞ্জের শহীদ সোহাগের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করেন তার পরিবার। পরবর্তীতে তার ভাইয়ের করা হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে আজ লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য নেয়া হয়েছে।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শহীদ হওয়া সোহাগকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে আজ তা উত্তোলন করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শহীদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়া তদারক করতে এখানে এসেছি।”
উল্লেখ্য, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে অংশ নেন সোহাগ মিয়া ও তার ভাই। ওই সময় পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই সোহাগ নিহত হন। পরে তাকে নিজ গ্রাম গোলামীপুরে দাফন করা হয়।
