হবিগঞ্জ জেলার নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মোছা. ইয়াছমিন খাতুন। রোববার (৩০ নভেম্বর) সকালে তিনি জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যোগদান করেন। এসময় জেলা পুলিশের একটি দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে বরণ করে নেয়।
২৫তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের এই কর্মকর্তা পাবনা জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। শিক্ষাজীবনে তিনি পাবনা ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে গমন করে একটি উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে পুলিশে যোগদান করেন। হবিগঞ্জে যোগদানের পূর্বে তিনি মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও কর্মজীবনের বিভিন্ন সময়ে তিনি ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে দায়িত্ব পালনসহ দায়িত্বশীলতা, শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছেন। দায়িত্ব গ্রহণকালে নবাগত পুলিশ সুপার তাঁর প্রধান লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হবিগঞ্জ জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, অপরাধ দমন ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। তিনি পুলিশি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। বিশেষ করে, মাদক, চুরি, ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতন, সাইবার অপরাধসহ সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণের ঘোষণা দেন তিনি। মোছা. ইয়াছমিন খাতুন জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও অপরাধমুক্ত হবিগঞ্জ গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় তিনি জেলার জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন। দক্ষ ও সাহসী এই নারী কর্মকর্তার পদায়নের খবর ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানাচ্ছেন। সচেতন মহল মনে করছে, তাঁর নেতৃত্বে হবিগঞ্জে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা আরও সুদৃঢ় হবে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, অপরাধ দমনে নতুন গতি আসবে এবং আরও গতিশীল ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
