হবিগঞ্জের মাধবপুরে জাল দলিল তৈরি করে হিন্দু পরিবারের সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টাকালে ধরা পড়েছেন সুমন দাস (৩৬) নামে এক যুবক।
রবিবার সকালে চারাভাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এ ঘটনা ঘটে। জমির আসল মালিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজুড়া গ্রামের মৃত কান্তি দেব ও আবু বক্কর সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে ৫৬ শতক জমি বৈধ দলিলের ভিত্তিতে ভোগদখল করে আসছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সেটেলমেন্ট জরিপে ভুলবশত একই মৌজার ১৬৭৮ নম্বর খতিয়ানে ৭৩৭৯ ও ৭৩৫১ দাগের ৮২ শতক জমি মৃত রুছমত আলীর নামে নথিভুক্ত হয়।
এই সুযোগে বেজুড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ প্রোভাইডার মৃত সুবোধ দাসের ছেলে সুমন দাস রুছমত আলীর নামে একটি জাল দলিল সৃজন করে জমি রেজিস্ট্রির চেষ্টা করেন। অফিসের কর্মকর্তারা দলিলটি দেখে সন্দেহজনক মনে করলে রেজিস্ট্রির প্রক্রিয়া স্থগিত করেন।
এরপর খবর পেয়ে জমির প্রকৃত মালিক দিলিপ দেব ও জামাল মিয়া অফিসে উপস্থিত হয়ে দলিল লেখকদের সহযোগিতায় সুমনকে আটক করেন। স্থানীয় সাংবাদিক ও গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য সুহেল মিয়া জানান, “আমাদের বসতভিটার জমি জাল দলিলের মাধ্যমে বিক্রি করার ষড়যন্ত্র করছিল সুমন। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
এ সময় উত্তেজিত এলাকাবাসী “জালিয়াতির বিচার চাই” স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভও করেন। একপর্যায়ে সুমন দাস নিজের জালিয়াতির কথা স্বীকার করে নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
মাধবপুর থানার এসআই লালন মিয়া বলেন, “জনতা সুমন দাসকে জাল দলিলসহ আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
