অক্টোবারের সেরার লড়াইয়ে উলভার্ট-গার্ডনার-মান্ধানা

উইমেন’স বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স লরা উলভার্টকে এনে দিতে পারে স্বীকৃতি। ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’- এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। অক্টোবরের সেরার লড়াইয়ে তার সঙ্গে আছেন ভারতের সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা ও অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি গার্ডনার।

মাস সেরার লড়াইয়ে থাকা নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারদের নাম বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে আইসিসি। ছেলেদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন তিন স্পিনার- পাকিস্তানের নোমান আলি, দক্ষিণ আফ্রিকার সেনুরান মুথুসামি ও আফগানিস্তানের রাশিদ খান।

লরা উলভার্ট (দক্ষিণ আফ্রিকা)

উইমেন্স ওয়ানডে বিশ্বকাপের এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। অক্টোবর মাসে ৮ ম্যাচে করেছেন ৪৭০ রান। তিন ফিফটির সঙ্গে আছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ১৬৯ রানের অতিমানবীয় ইনিংসটি। যা দলকে তুলেছিল ভারতের বিপক্ষে ফাইনালের মহারণে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটিতেও খেলেছেন ১০১ রানের ইনিংস। তবে এরপরও জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা, হয় রানার্সআপ।

অ্যাশলি গার্ডনার (অস্ট্রেলিয়া)

ব্যাটার, বোলার ও অলরাউন্ডার, সব বিভাগেই মেয়েদের ক্রিকেটে শীর্ষ তিনে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি গার্ডনার। উইমেন’স বিশ্বকাপে এবারের আসরে অলরাউন্ড নৈপুণ‍্যে অবদান রেখেছেন তিনি। বল হাতে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ব্যাট হাতে দুটি সেঞ্চুরিসহ করেছেন ৩২৮ রান। যার মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৫ ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৪ রানের ইনিংস দুটি রয়েছে।

স্মৃতি মান্ধানা (ভারত)

সেপ্টেম্বরের পর অক্টোবরেও ভারতের ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা আছেন এই পুরস্কারের দৌড়ে। উইমেন’স বিশ্বকাপে অক্টোবর মাসে ৭ ম্যাচে ৮২ গড়ে ৩৮১ রান করেছেন তিনি। যা ভারতকে ফাইনালে তোলায় বড় ভূমিকা রেখেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইনিংসগুলোর মধ্যে ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮০, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৮ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি (১০৯)।

নোমান আলি (পাকিস্তান)

লাহোর টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নতুন বলে বোলিং শুরু করে ১০ উইকেট নেন নোমান আলি। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেছিলেন আরও ৪টি। এই পারফরম্যান্সে আইসিসি টেস্ট বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা দ্বিতীয় স্থানে উঠে যান তিনি। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও তিনি উভয় ইনিংসে নেন দুটি করে উইকেট।

সেনুরান মুথুসামি (দক্ষিণ আফ্রিকা)

লাহোর টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারলেও সেই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে বল হাতে দ্যুতি ছড়ান প্রোটিয়া স্পিনার সেনুরান মুথুসামি। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নেন আরও ৫ উইকেট।

দ্বিতীয় টেস্টে বল হাতে নিষ্প্রভ থাকলেও ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে খেলেন অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস, যা দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ সমতা এনে দিতে ভূমিকা রাখে। এতে তিনি জেতেন ‘প্লেয়ার অব দা সিরিজ’ পুরস্কার।

রাশিদ খান (আফগানিস্তান)

রাশিদ খান আবারও প্রমাণ করেছেন সাদা বলের ক্রিকেটে কেন তিনি বিশ্বের সেরাদের একজন। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৬.০৯ গড়ে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ওভার প্রতি দিয়েছেন কেবল ২.৭৩ রান। এই সময়ে পাঁচটি টি-টোয়েন্টিতে ৯.১১ গড়ে নিয়েছেন ৯ উইকেট। ওভার প্রতি দিয়েছেন কেবল ৪.৮২ রান।

আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে।

সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন