পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার কুর্রাম জেলার ডোগারের জেনারেল এলাকায় গোয়েন্দা তথ্য-ভিত্তিক অভিযানে (আইবিও) একজন ক্যাপ্টেনসহ কমপক্ষে ছয় পাকিস্তানি সেনা শহীদ হয়েছেন বলে গতকাল বুধবার সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা জানিয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় আরো সাতজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সদস্যদের তালিকাভুক্ত ফিতনা আল খাওয়ারিজের সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবরের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অভিযানটি পরিচালনার সময় নিজস্ব সেনাদের কার্যকর অংশগ্রহণের কারণে সাতজন ভারত সমর্থিত খাওয়ারিজকে জাহান্নামে পাঠানো হয়েছিল। ’ তবে ক্যাপ্টেন নোমান সলিম (২৪), হাবিলদার আমজাদ আলী (৩৯), নায়েক ওয়াকাস আহমেদ (৩৬), সিপাহী আইজাজ আলী (২৩), সিপাহী মুহাম্মদ ওয়ালিদ (২৩) এবং সিপাহী মুহাম্মদ শাহবাজ (৩২) সকলেই বন্দুকযুদ্ধে শহীদ হন।
ক্যাপ্টেন নোমান ছিলেন একজন সাহসী তরুণ মেডিকেল অফিসার। যিনি চিকিৎসা সেবার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন এবং তার পাঁচজন সদস্যের সঙ্গে শহীদ হয়েছেন বলে বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে। বিবৃতির উপসংহারে বলা হয়েছে, ‘একটি নির্মূল অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
এলাকায় পাওয়া যেকোনো ভারতসমর্থিত সন্ত্রাসীকে নির্মূল করা হবে। ‘আজমে ইস্তেহকাম’ (যা জাতীয় কর্মপরিকল্পনার আওতায় ফেডারেল অ্যাপেক্স কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত) এই দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো দেশ থেকে বিদেশি সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূলের লক্ষ্যে নিরলস সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবে।’ পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কেপি এবং বেলুচিস্তানে।
আক্রমণের শিকার বেশিরভাগই পুলিশ, আইন প্রয়োগকারী কর্মী এবং নিরাপত্তা বাহিনী। ২০২২ সালে নিষিদ্ধ টিটিপি সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পর এই বৃদ্ধি ঘটেছে।
আইএসপিআর অনুসারে, রবিবার নিরাপত্তা বাহিনী ২৪-২৫ অক্টোবর আফগানিস্তান থেকে দুটি বড় সন্ত্রাসী দলের অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে। ২৫ জন সন্ত্রাসীকে তখন হত্যা করা হয় এবং উত্তর ওয়াজিরিস্তান এবং কুর্রাম জেলায় পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক জব্দ করে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সেনারা খোয়ারিজদের এই দলগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করেছে।
দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত এই লড়াইয়ে ১৫ জন খোয়ারিজ নিহত হয়েছে। যার মধ্যে ভারতীয় প্রক্সি ‘ফিতনা আল-খোয়ারিজ’ গোষ্ঠীর চারজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী রয়েছে। এ অভিযানটি উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার স্পিনওয়াম এলাকায় পরিচালিত হয়।’ সূত্র : ডন
