সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলার পাথরবাহী ট্রাক্টরের চাপায় মো. জিয়াউল হক (৬৫) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি জামালপুরের মোবারক চেয়ারম্যানের ছেলে। এ ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা ১২টায় সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
এরমধ্যে এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানায় পুলিশ। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, সম্রাট (৩৭), তার স্ত্রী সুমাইয়া (২৮), মেয়ে সাওদা (১০) ও ছেলে সিনান (৮) এবং সিএনজি চালক রমজান আলী। এদের মধ্যে সিনানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, শাহ-আরফিন টিলা থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকলেও প্রতিনিয়ত একটি সিন্ডিকেট এই টিলা থেকে পাথর উত্তোলন করে ধ্বংসস্তুপে পরিনত করেছে। শাহ-আরফিন টিলার এখন কোনো অস্তিত্বই নাই। তারপরেও দিনে ও রাতে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে উত্তোলন হয় পাথর। আজ বেলা ১২টার দিকে টিলা থেকে পাথর বুঝাই করে আসছিলো একটি ট্রাক্টর অপরদিকে সিলেট থেকে পর্যটকবাহী সিএনজি সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি আসার সাথে সাথে শাহ আরেফিন টিলার পাথরবাহী ট্রাক্টর দ্রুত গতিতে মহাসড়কে উঠার সময় সিএনজি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এ সময় সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ ৬ জন আহত হোন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিয়াউল হককে মৃত্যু ঘোষণা করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ পিপিএম জানান, নিহত জিয়াউল পরিবারসহ সিলেটে এসেছিলেন ঘুরতে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সেই সাথে আহতদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
