
হবিগঞ্জের মাধবপুরে দীর্ঘ এক বছর ধরে পানির নিচে ডুবে আছে একটি গুরুত্বপূর্ণ এলজিইডি সড়ক। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং সরকারি উদ্যোগের অভাবে আটটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র যোগাযোগ পথ এখন জলাবদ্ধতার কবলে।
উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুর হযরত শাহজালাল আলিয়া মাদ্রাসা থেকে গোপীনাথপুর পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি (এলজিইডি আইডি নং–৬৩৬৭৩৫০২৩) বর্তমানে রজব আলী টেইলারের বাড়ির অংশে সম্পূর্ণ পানির নিচে ডুবে আছে।
এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কমলপুর, নয়নপুর, দেবীপুর, কালিকাপুর, রামনগর, চৈতন্যপুর, গোপীনাথপুর ও হরিণখোলা—এই আটটি গ্রামের প্রায় পাঁচ থেকে দশ হাজার মানুষ চলাচল করেন। বিশেষ করে হযরত শাহজালাল আলিয়া মাদ্রাসা, আজিজুর রহমান স্কলার একাডেমি ও গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীকে প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, কিছু ব্যক্তি রাস্তার পাশের পানি নিষ্কাশনের খাল বন্ধ করে দিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ করে নিষ্কাশনের পথ খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হলেও তারা তা মানেননি। ফলে বর্ষা মৌসুমে রাস্তার আশপাশের এলাকা তীব্র জলাবদ্ধতায় ডুবে যায় এবং কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না।
ইউপি সদস্য আব্দুস শহীদ বলেন, “রাস্তাটি সংস্কার করা এখন একান্ত জরুরি। আমরা বারবার আবেদন করেছি, কিন্তু কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।”
স্থানীয় বাসিন্দা রজব আলী বলেন, “কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি—জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের দাবি জানাই।”
এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউন্নবী বলেন, “বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। স্থানীয় মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের আবেদনের ভিত্তিতে রাস্তা পাকা করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে রাস্তা পাকা করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলীর কাছে সুপারিশ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে সময়ের পরিক্রমায় এই সড়কটি এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে, ভোগান্তি পোহাচ্ছেন আশপাশের হাজারো মানুষ।