হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের রত্না নদীর ওপর স্থাপিত লোহার সেতুটি ভেঙে পড়ার কারণে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। গতকাল শনিবার সকাল থেকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।
গত শুক্রবার সকাল ৭টায় ভারী পাথরবাহী একটি ট্রাক পারাপারের সময় সেতুর পাঁচটি পাটাতন (ডেকিং) ভেঙে যায়। এতে করে সেতুর ওপর আটকে যায় ট্রাকটি। বন্ধ হয়ে যায় দুই পারের যান চলাচল। ফলে বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জ উপজেলার মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এর মাঝখানের পাটাতন এমনভাবে দেবে গেছে যে হাঁটারও সুযোগ নেই। ট্রাকের পেছনের দুটি চাকা বসে গেছে পাটাতন ভেঙে। পুরো ট্রাকটি সরানো ছাড়া অবস্থার উন্নতি হওয়ার নয়। সওজের কর্মীরা ট্রাকের মাল সরিয়ে সেতুর ডেকিং মেরামতের চেষ্টা করছেন। দুই পারে ফেরির অপেক্ষায় রয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। প্রতিক্ষণে বাড়ছে গাড়ির চাপ।
অনেক যাত্রী নৌকায় করে নদী পার হয়ে অন্য প্রান্তে গিয়ে গাড়ি ধরছে। জেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পণ্য পরিবহন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
শনিবার সেতু মেরামতের কাজে নিয়োজিত সওজের শ্রমিক সর্দার ইউনুস মিয়া জানান, আগামী সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ কাজ শেষ হতে পারে। তবে নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
রত্না বাজারের ব্যবসায়ী আদম আলী চৌধুরী বলেন, ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের। টেন্ডারের কথা বলে পাঁচ-ছয় বছর কাটিয়ে দেওয়া হলো। সেকুল মিয়া নামে আরেক বাসিন্দা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সাইনবোর্ড লাগানো আছে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর। এর পরেও ভারী যানবাহন ওঠে।
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কে রত্না নদীর ওপর ১৯৯৪ সালে নির্মিত হয় লোহার সেতু। সেটি পুরোনো হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, সেতুটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুত কাজ চলছে। দু-এক দিনের মধ্যে মেরামত সম্পন্ন হবে।
