জার্মান কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে গতকাল রাতে হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে কোলনকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ। এই জয়ে দারুণ এক ইউরোপিয়ান রেকর্ড গড়েছে জার্মান ক্লাবটি। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে মৌসুমের শুরু থেকে টানা সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছে বায়ার্ন।
ভিনসেন্ট কোম্পানির দল চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত ১৪ ম্যাচ খেলে সব জিতেছে। গত ১৬ আগস্ট জার্মান সুপার কাপে স্টুটগার্টের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে মৌসুম শুরু করেছিল বায়ার্ন।
এ পথ পর্যন্ত বুন্দেসলিগায় ৮ ম্যাচ, জার্মান কাপে ২ ম্যাচ ও চ্যাম্পিয়নস লিগে ৩ ম্যাচ খেলেছে কোম্পানির দল। বুন্দেসলিগা টেবিলে ৮ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। মৌসুমের এ পথ পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৪ ম্যাচে ৫১ গোল করার বিপরীতে বায়ার্ন গোল হজম করেছে মাত্র ১০টি।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এর আগে মৌসুমের শুরু থেকে টানা সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটি ছিল এসি মিলানের। কোচ ফাবিও কাপেলোর অধীন ১৯৯২-৯৩ মৌসুমের শুরু থেকে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে প্রথম ১৩টি ম্যাচ জিতেছিল মার্কো ফন বাস্তেন-পাওলো মালদিনিদের মিলান। সেই মৌসুমে সিরি আ ও ইতালিয়ান সুপার কাপ জিতেছিল কাপেলোর দল। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে উঠে হেরেছিল মার্শেইয়ের কাছে।
মিলানকে টপকে বায়ার্নের নতুন রেকর্ড গড়ার পেছনে মূল কারিগর তাদের ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন। বায়ার্নের এই ১৪ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুই ম্যাচে তিনি গোল করতে পারেননি। দুটি হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি ৬ ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন কেইন। গোল বানিয়েছেন ৩টি। কাল রাতে কোলনের বিপক্ষে দুই অর্ধে দুটি গোল করেন কেইন। বায়ার্নের হয়ে অন্য দুটি গোল লুইস দিয়াজ ও মাইকেল ওলিসের।
কেইন চলতি মৌসুমে ১৪ ম্যাচে এ নিয়ে ২২ গোল করলেন। গোল করায় বাকি সতীর্থদের চেয়ে কেইন কতটা এগিয়ে, তা বুঝিয়ে দেয় পরিসংখ্যান। এবার ২০২৫-২৬ মৌসুমে বায়ার্নের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা কলম্বিয়ান উইঙ্গার দিয়াজ। ১৪ ম্যাচ তাঁর গোলসংখ্যা ৮।
কেইনের গোলের মালা গাঁথা নিয়ে ম্যাচ শেষে একটু মজাই করেছেন বায়ার্ন কোচ কোম্পানি। এ মৌসুমে কেইনকে একটু নিচে নেমে খেলতে দেখা যাচ্ছে। গোল করার পাশাপাশি সুযোগ তৈরিতে সচেষ্ট হচ্ছেন তিনি। কোম্পানি তাই কোলনের বিপক্ষে জয়ের পর জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম এআরডিতে বলেন, ‘কখনো কখনো ব্যাপারটা বেশ মজার। ম্যাচ শেষে কাকে যেন জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কেইন আজ (গতকাল রাতে) গোল করেছে কি না এবং সে বলেছে, হ্যাঁ দুই গোল। কখনো কখনো আসলে খেয়াল রাখা সম্ভব হয় না, কারণ, দলের জন্য সে অন্য যেসব কাজ করে সে জন্য।’
