শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম পরিচালনা করার জন্য নিত্যদিন আমাদের নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজের প্রয়োজন পড়ে। তবে শরীরের প্রয়োজনীয় সব ধরনের উপাদানের নাম জানা না থাকলেও ভিটামিন সি-এর কথা প্রায় সবাই জানেন। সামান্য সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, চুল-ত্বকের যত্ন—সব কিছুতেই এই ভিটামিনের ভূমিকা রয়েছে।
শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতেও ভিটামিন সি প্রয়োজন।
ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের তথ্যানুসারে, ১৯ থেকে ৬৪ বছর বয়সিদের প্রতিদিন প্রায় ৪০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করতে বিশেষভাবে সহায়তা করে এই ভিটামিন। এ ছাড়া আর কী কী কাজে লাগে, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
ঠাণ্ডা লাগা
ভিটামিন সি সরাসরি ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করতে সবার ক্ষেত্রে একই রকমভাবে কাজ করবে এমনটা নয়। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ২৫০ মিলিগ্রাম থেকে ১ গ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন সি শরীরে থাকলে সংক্রমণ-জনিত ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দিকাশি প্রতিরোধে বিশেষভাবে সহায়তা করে। চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন সি খেলে এই ধরনের সমস্যা ঠেকিয়ে রাখা যেতে পারে।
হার্টের সমস্যা
হার্টের ধমনিতে প্রদাহজনিত সমস্যা প্রতিরোধেও ভিটামিন সি-র ভূমিকা রয়েছে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই ভিটামিনের ভূমিকা রয়েছে। ভিটামিন সি-র মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে।
ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় থাকলে হার্টের ধমনি সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। রক্তে ভিটামিন সি-র মাত্রা বেশি থাকলে ধমনির দেওয়ালে প্লাক জমতে পারে না। ফলে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
উচ্চ রক্তচাপ
হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও ভিটামিন সি খাওয়া ভালো। রক্তে ভিটামিন সি-র মাত্রা বাড়তির দিকে থাকলে ব্লাড ভেসেল বা রক্তজালিকাগুলো সুরক্ষিত রাখে।
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়তে দেয় না। উপরন্তু, নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে। ফলে রক্তজালিকা প্রশস্ত হয়। রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয় না। সূত্র : এই সময়
