গাজার জলসীমায় ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’, বহরে টিকে আছে ২৪ নৌযান
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ ত্রাণবাহী একটি নৌযান ইসরায়েলি বাহিনীর বাধা অতিক্রম করে গাজার জলসীমায় প্রবেশ করেছে। লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, মিকেনো নামের ওই নৌযানটি বর্তমানে গাজার জলসীমার ভেতরে অবস্থান করছে। তবে জাহাজটি ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টায় এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার।
লাইভ ট্র্যাকার অনুসারে, কমপক্ষে ২৪টি জাহাজ এখনও চলাচল করছে। গাজার উপকূলের সবচেয়ে কাছের জাহাজগুলি প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার (৩১-৩৭ মাইল) দূরে বলে মনে হচ্ছে। এরমধ্যে কয়েকটি নৌযান গাজার জলসীমার কাছাকাছি বা ভেতরেও অবস্থান করতে পারে।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী গত কয়েক ঘণ্টা ধরে নৌযানগুলোকে আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বহরের মোট সচল নৌযানের সংখ্যা ৩০ থেকে কমে এখন ২৪টিতে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকাশেক জানিয়েছেন, বুধবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনী ১৩টি জাহাজ আটক করেছে। সেসব জাহাজে ৩৭টি দেশের ২০৮ জনেরও বেশি মানুষ ছিলেন, যাদের মধ্যে স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরস্কের ২১ জন ও মালয়েশিয়ার ১২ জন ছিলেন। সর্বশেষ ৩০টি নৌযান তাদের যাত্রা অব্যাহত রাখে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা হলো সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযানে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষ রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।
এই নৌবহরের প্রথম বহর ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এতে যুক্ত হয়। যাত্রাপথে কোনো বাধা না পেলে নৌবহরটির স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজায় পৌঁছানোর কথা ছিল। শুরু থেকেই ইসরায়েল এই নৌবহরের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করে আসছে, যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় বিগত প্রায় দুই বছরে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি গাজা অবরোধ করে উপত্যকাটিতে তীব্র খাদ্য সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে।