মীর্জা ফখরুলের ওপর হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের বিক্ষোভ
দৈনিক সিলেট ডট কম
এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে : বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুলসহ নেত্রীবৃন্দের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং এ ধরনের বর্বরোচিত আক্রমণের জন্যে সরকারকে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানানো হয় নিউইয়র্কে যুবদলের বিক্ষোভ থেকে।
২২ জুন বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের এ বিক্ষোভে বিএনপি এবং আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন।
‘মীর্জা ফখরুলের ওপর হামলা কেন-জবাব চাই, দিতে হবে’ স্লোগানে প্রকম্পিত এ বিক্ষোভ থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শফিকুল আলম মনা, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী এবং সেক্রেটারি আবু সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।
মনা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ বিপন্ন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের নাম-নিশানা মুছে ফেলতেই বিএনপি মহাসচিবসহ উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে।’
জিল্লুর রহমান বলেন, ‘দেয়ালে পীঠ ঠেকে গেছে। এখন সময় হচ্ছে রুখে দাঁড়ানোর।’
জাকির এইচ চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে যত দ্রুত হঠানো যাবে, ততোই নিরাপদ হবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র। আর এজন্যে প্রবাসীরাও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে।’
আবু সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘ভারতের তাবেদার সরকার বাংলাদেশকে বিকিয়ে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। একে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন আবু সুফিয়ান, আমানত হোসেন, শাহাদৎ হোসেন রাজু প্রমুখ।
বিএনপি মহাসচিবসহ উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদে ২১ জুন বুধবার অপরাহ্নে জ্যাকসন হাইটসে আরেকটি সভা হয়েছে ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদ’র উদ্যোগে। মেজবান পার্টি হলের ঐ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শাহাদৎ হোসেন রাজু। পরিচালনা করেন সেক্রেটারি মনিরুল ইসলাম। অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির অন্যতম সহ-সভাপতি গিয়াস আহমেদ। তিনি অভিযোগ করেন যে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই হাসান মাহমুদের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা মির্জা ফখরুলসহ অন্যদের ওপর হামলা করেছে। এই জঘন্য অপকর্মের দায়-দায়িত্ব শেখ হাসিনাকেই নিতে হবে।