যেসব খাবার নারীদের গর্ভধারণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়

দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক:বর্তমানে অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়ার জেরে বাড়ে ওজন। আর সেই ওজন কমাতে শুরু হয়ে যায় ডায়েটিং। অনেকেই শুধু খাওয়ার পরিমাণ কমিয়েই ওজন কমানোর চেষ্টা করেন। তবে এমন অনেক ডায়েট ফুড রয়েছে, যা আখেরে আপনার শরীরের ক্ষতি করে। এমনকি ডায়েট চার্টে সে সব খাবার থাকলে নারীদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতাও কমে।
গবেষণা বলছে, এমন কিছু খাবার খেলে হয়তো সত্যিই ওজন কমে, কিন্তু সেই সঙ্গে শরীরে নানা ধরনের রোগও জন্ম নেয়। তাই ওজন কমানোর এমন প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে। জেনে নিন কী ধরনের ডায়েট করলে সন্তান প্রসবে সমস্যা হতে পারে-
মিক্সড জ্যুস : ওজন কমাতে মিক্সড জ্যুস পান করেন অনেকে। কিন্তু এই বিষয়গুলি যেমন ঠিক, তেমনই এর কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। অনেকেই জানেন না, এই ধরনের জ্যুস পান করলে তা শরীরের বিপাক ক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে এবং বিএমআইকে এমন একটি স্তরে নিয়ে যায় যে, তা মহিলাদের গর্ভধারণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কাঁচা সবজি : অনেকে দ্রুত মেদ ঝরাতে বিভিন্ন ধরনের সবজি ছোট ছোট করে কেটে ধুয়ে কাঁচাই খেয়ে ফেলেন। কিন্তু এতে অজান্তেই শরীরের ক্ষতি করে ফেলেন তারা। কারণ কাঁচা সবজি খেলে শরীর প্রয়োজনীয় নিউট্রিশন থেকে বঞ্চিত হয়। আয়রন, ভিটামিন বি-এর অভাব ঘটে শরীরে। আর এভাবেই নিউট্রিশনের অভাব শরীরকে দুর্বল করে ও গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দেয়।
শুধু তরল খাবার : ওজন কমাতে এ অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। দুপুর ও রাতের খাবারে ভারী কোনও খাবার না খেয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবারের শেক খেয়েই দিন কাটান। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। বিশেষ করে কোনও মহিলা যদি গর্ভধারণের সময় এমনটা করেন, তাহলে তা আরও বিপদজনক। কারণ শেক পান করলে শর্করাই শরীরে বেশি যায়, আর প্রোটিন কম।
কেটোজেনিক ডায়েট : এই ধরনের ডায়েটে অনেকে খিদে চাপা দেওয়ার জন্য কোনও এক সময় প্রোটিন রয়েছে এমন খাবার বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন। তাদের ধারণা এতে শরীর সুস্থ ও চাঙ্গা থাকে। দ্রুত ওজনও কমে। তবে এমন ধারণা এক্কেবারে ভুল। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ ধরনের ডায়েট না করাই ভাল।
ডায়েট ট্যাবলেট ও ড্রিঙ্কস : শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে নিজের হাতে এ সর্বনাশ করবেন না। ডায়েট ট্যাবলেট এবং ড্রিঙ্কসে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফিন থাকে যা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু ঠিক ততটাই দ্রুত গর্ভধারণের ক্ষমতাও কমিয়ে দিতে সক্ষম এগুলি। জীবন একটাই। তাই বিচার-বিবেচনা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।