ছেলে সেজে দুই মেয়েকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে! অতঃপর..
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক:নিজের মধ্যে ছেলেদের মতো ভাব হলেও আসলে সে মেয়ে। আর সেই ছেলে ভাব কাজে লাগিয়েই এক মেয়ে বিয়ে করেছে দুই মেয়েকে। মেয়ে হিসেবে নয়, ছেলে সেজেই বিয়ে করেছে সে। এরপর পণের জন্য চাপ দিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন সেই বর। কিন্তু মামলা দিতে গিয়ে বিপাকে পুলিশ। কারণ, পণের অভিযোগ তো তোলাই যাচ্ছে না। কারণ বর না হলে পণ আসবে কোথা থেকে।
এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরাখণ্ডে। জানা গেছে, বছর পঁচিশের সুইটি সেন সব সময়েই ছেলে সেজে থাকেন। তবে তাকে সবাই মেয়ে বলেই চেনে। সুইটি নাম বদলে ২০১৩ সালে ফেসবুকে কৃষ্ণ সেন নামে অ্যাকাউন্ট খোলেন। এর পরে শুরু হয় মেয়েদের ফাঁদে ফেলার খেলা। আর এক নয়, দুই মেয়েকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে নেন।
উত্তরাখণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, সুইটি উত্তরপ্রদেশের বিজনোরের বাসিন্দা। ‘টমবয়’ সুইটির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা হয় উত্তরাখণ্ডের কাঠগোদামের বাসিন্দা কামিনীর। সুইটি কামিনীর কাছে নিজের পরিচয় দেন আলিগড়ের এক ব্যবসায়ীর ছেলে কৃষ্ণ বলে।
এরপর প্রেম হয় তাদের, বিয়ে হয়ে যায়। গোপন কথা জেনেও যান কামিনী। কিন্তু নিজের করা ভুলের কথা কাউকে বলতে পারেননি তিনি। মদ্যপ সুইটির নিয়মিত অত্যাচার মেনে নিয়েছেন। দ্বিতীয়বার বিয়েও মেনে নিয়েছেন। এমনকী, দফায় দফায় কামিনীর পরিবার সুইটি সেনকে সাড়ে আট লাখ টাকা দিয়েছে পণ হিসেবে।
২০১৪ সালে কামিনীকে বিয়ে। আর ২০১৬ সালে উত্তরাখণ্ডের কালাধুঙ্গি এলাকার নিশাকে বিয়ে। দুই বউকে নিয়ে নর সাজা বর সংসার পাতেন হালদোয়ানির এক ভাড়া করা ঘরে। এর পর তিন মেয়ের ‘নকল’ দাম্পত্য চলতে থাকে।
তদন্তে নেমে হতবাক পুলিশ। শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত যে সুইটি ওরফে কৃষ্ণ পুরোপুরি মেয়ে। তারা আরও অবাক হয়েছে এটা জেনে যে, এত দিনেও দুই বউ সুইটির শরীর দেখতে পায়নি। পুলিশে জানতে পেরেছে সুইটির নির্দেশে দুই বউ ‘সেক্স টয়’ ব্যবহার করেই যৌনতার সাধ মিটিয়েছে এত বছর।
নিশা এবং কামিনী সুইটির বিরুদ্ধে পণের জন্য চাপের অভিযোগ এনেছেন। কিন্তু সেই মামলা করা যাচ্ছে না। কার, সুইটি যেহেতু মহিলা তাই এটাকে ‘বিয়ে’ বলা যাবে না। আপাতত ঠকানোর অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ এখন সুইটি কৃষ্ণর সেই সব আত্মীয় পরিজনদের খুঁজছে যারা দু’টো বিয়েতেই হাজির হয়েছিল।