হঠাৎ ২৪ ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার, ঢাবিতে উত্তেজনা
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে ১০ এপ্রিলের ঘটনায় ২৪ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ। এ নিয়ে পুরো ঢাবি জুড়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ছাত্রলীগের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সোমবার রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলে এবার এষা বিরোধীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গত ১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হলের সভাপতি এষাকে প্রকাশ্যে জুতার মালা পড়ানো ও তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। হলের সহ-সভাপতি মোর্শেদার পা কাটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। সেই মোর্শেদাকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। কোটা ইস্যুতে আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের ঘটনায় আরো ২৪ নেতাকর্মীকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিস্কৃতরা হলেন, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসেন মুন,ঢাবি ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মুর্শেদা খানম,আতিকা হত স্বর্ণা,মিরা,সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতী আক্তার সুমি, সহ-সম্পাদক শ্রাবণী,যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শারমিন আক্তার সুমি, ঢাবি চারুকলা বিভাগের উপ-তথ্য ও গবেশষনা সম্পাদক আশা, নাট্যকলা বিভাগের লিজা, মিথিলা নুসরাত বৈতী, সঙ্গীত বিভাগের মোনম সীথি, চারুকলার সুদীপ্তা মন্ডল,সঙ্গীত বিভাগের প্রিয়ংকা দে, নৃ বিজ্ঞান বিভাগের শারমিন সুলতানা,উর্দু বিভাগের মিতু, ভূতত্ত্ব বিভাগের শিলা,জাকিয়া,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মনিরা, রুনা, শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের জুঁই,চারুকলা বিভাগের অনামিকা দাস, সঙ্গীত বিভাগের প্রভা, বাংলা বিভাগের তানজিলা ও সমাজকল্যাণ বিভাগের তাজসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ ছাত্রলীগ নেত্রী।
গেলো ৮ এপ্রিল থেকে কোটা সংস্কারের দাবি টানা আন্দোলন শুরু হয়। চতুর্থদিনের মাথায় সুফিয়া কামাল হলে গভীর রাতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে যাওয়ায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, হল ছাত্রলীগ সভাপতি ইশরাত জাহান এশা কয়েকজনকে নির্যাতন করে আহত করেছেন।
নির্যাতিতরা জানান, তারা সকলেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ সময় হল ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মুর্শেদা খানমের পা কেটে যাওয়া ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে মুহূর্তেই অন্যান্য হল থেকে সুফিয়া কামাল হলে জড়ো হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা হল সভাপতি এশার বিচার দাবি করেন।
পরে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হয় হল ছাত্রলীগ সভাপতি ইশরাত জাহান এশাকে। তবে বহিষ্কার করার তিন দিনের মাথায় এশাকে নির্দোষ দাবি করা হয়। স্বপদে ফেরায় ছাত্রলীগ।
জানা যায়, সোমবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মুর্শেদা খানম ছাড়াও সহ সভাপতি আতিকা হক স্বর্ণা, মিরা, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমি, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শারমিন আক্তার, সহ সম্পাদক শ্রাবণীসহ যে ২৪ নেতাকর্মীর নাম প্রকাশ হয়েছে, তাদের সবাই ওইদিন রাতে এশার নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছিলেন।