আজও অমীমাংসিত যে চারটি স্থানের রহস্য
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক: বিজ্ঞানের কল্যাণে পৃথিবীর অনেক রহস্যই উন্মোচিত হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু জায়গা আছে, যারা নিজেদের রহস্যকে এখনো আঁকড়ে ধরে রেখেছে। বিজ্ঞানীদের শত চেষ্টার পরেও তাদের ব্যাপারে সত্যটা জানা যায়নি এখনো। বিভিন্ন লোকগাথা, প্রাচীন ধারণা এবং কুসংস্কারে ঢাকা তেমনই চারটি স্থানের নাম জেনে নিন আজ।
১ . সূর্যের দরজা, তিব্বত, বলিভিয়া
ইউনেস্কো তিওয়ানাকু অঞ্চলকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে ২০০০ সালে। এটি একটি প্রি-কলাম্বিয়ান নৃতাত্ত্বিক সাইট, যার অবস্থান পশ্চিম বলিভিয়ায়। সূর্যের দরজা তিওয়ানাকুতে অবস্থিত একটি রহস্যময় জায়গা। এ দরজা কত বছরের পুরানো তা এখনো অজানা । কখন এবং কেন এটি তৈরি করা হয়েছিল, তা কেউ জানে না । বিজ্ঞানীদের মতে, এই দরজাটি বিভিন্ন গ্রহের অবস্থানের ধারণা প্রদানের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
২ . ইয়োনাগুনি ডুবো শহর, জাপান
জাপানে পানির নিচে ডুবে থাকা ইয়োনাগুনি শহর এখনও একটি প্রশ্ন। বলা হয় যে প্রায় ১০০০ বছর আগে এই শহরটি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। অনেকে একে ‘জাপানের আটলান্টিস’ বলেও অভিহিত করেন। ধারণা করা হয় ভূমিকম্পের কারণে ডুবে গেছে ইয়োনাগুনি।
৩ . মহেঞ্জোদারো, পাকিস্তান
১৯২২ সালে সিন্ধু নদীর তীরে একটি পুরানো শহর আবিষ্কৃত হয়েছিল। যার নাম মহেঞ্জোদরো। কেউ এই শহর ধ্বংসের কারণ জানেন না। কেউ কেউ ধারণা করেন, শহরটিতে গণহত্যা চালানো হয়েছিল। আবার কেউ ধারণা করেন বন্যা এবং মহামারীতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে শহরের বাসিন্দারা। এমনকি এখানে পারমাণবিক বোমা হামলারও ধারণা করেন কেউ কেউ।
৪. দৈত্য পাথর বল, কোস্টা রিকা
কোস্টা রিকাতে কলা গাছ রোপনের জন্য জঙ্গল পরিষ্কার করার সময়ে বিংশ শতাব্দীর ৩০’র দশকে কিছু বিশাল আকারের বল পাওয়া যায়। জঙ্গল পরিষ্কার করার সময়ে বুলডোজার দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় এসব বল। ফলে অনেকগুলো বল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এগুলোর ভেতরে স্বর্ণ আছে, এমন গুজব ছড়ানোর পর অনেক স্থানীয় বাসিন্দা ডায়নামাইট দিয়ে কিছু বল ফাটিয়ে ফেলে। পরে কর্তৃপক্ষ এসব নিদর্শন উদ্ধার করে জাদুঘরে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করে। ঠিক কোথা থেকে এসব বল এসেছে বা কী কারণে, কারা এগুলো তৈরি করেছিল এ ব্যাপারে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র: পাঞ্জাব কেসরী