গুজব ছড়ানোয় অভিনেত্রী নওশাবা আটক
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক: নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ২৯ ব্যক্তি ও নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনা থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় এই মামলা করা হয় বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংবাদ সংস্থা ইউএনবি।
এদিকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে অভিনেত্রী ও মডেল কাজী নওশাবা আহমেদকে আটক করেছে র্যাব।
ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার মাসুদুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইয়াসিন মিয়া বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন। তাতে ২৯ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ও নিউজ পোর্টালগুলো উসকানিমূলক ছবি, ভিডিও ও লেখা পোস্ট করে ছাত্রদের আন্দোলন উসকে দিয়েছে। এ জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ও ব্লগ ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে অভিনেত্রী ও মডেল কাজী নওশাবা আহমেদকে আটক করেছে র্যাব। শনিবার রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
জিগাতলায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ‘দুই ছাত্রের মৃত্যু এবং একজনের চোখ তুলে ফেলার’ কথা নিজের ফেসবুকে ছড়ান নওশাবা।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের জানান, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গুজব ছড়ানোর দায়ে কাজী নওশাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উত্তরার র্যাব-১ এর কার্যালয়ে আনা হয়েছে।
শনিবার দুপুরের দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ের কর্মীদের সংঘর্ষে জিগাতলা এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। বিকেল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চলা সংঘর্ষে হেলমেট পরা একদল যুবককে দেখা গেছে, যাদের একজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা গেছে। সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে অভিনেত্রী নওশাবা বিকেল চারটার দিকে ফেসবুক লাইভে আসেন।
এক মিনিটের ৩৭ সেকেন্ডের লাইভ ভিডিওর শুরুতেই তিনি বলেন, ‘আমি কাজী নওশাবা আহমেদ বলছি, আপনাদের জানাতে চাই, একটু আগে জিগাতলায় আমাদের ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে, দুজনকে মেরে ফেলা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে গত রবিবার বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামেন স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।