চলতি সপ্তাহের যে ৪টি চাঞ্চল্যকর তথ্য
দৈনিক সিলেট ডট কম
লন্ডন: সামনের পুরো সাতদিন ধরে কি ঘটবে, তার সবকিছুই আমরা জানি, সেটা বলা কখনোই সম্ভব নয়। তবে এ সপ্তাহে কি ঘটতে পারে, তার কিছু ধারণা করা যাবে।
১. পিয়ংইয়ংয়ে মুখোমুখি বৈঠক
উত্তর কোরিয়ান প্রেসিডেন্ট কিম জং-আনের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করবেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন।
এক দশকের বেশি সময় পর এই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো শীর্ষ নেতা উত্তরের রাজধানীতে যাচ্ছেন। কাগজপত্রের হিসাবে যে দেশ দুটি এখনো যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে।
এ বছরের প্রথম দিকে এই দুই নেতার দুইটি বৈঠক হয়েছিল, যেখানে কোরীয় উপদ্বীপ এলাকা থেকে পারমানবিক মিসাইল কর্মসূচী বন্ধের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিম।
তবে এখনো বেশকিছু স্পর্শকাতর বিষয় রয়ে গেছে। তার মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় দক্ষিণ কোরিয়ার অংশগ্রহণ এবং উত্তর কোরিয়ান মানবাধিকারের মতো বিষয়।
সোমবার রাতে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৭০তম বার্ষিক অ্যামি অ্যাওয়ার্ড।
আমেরিকান টেলিভিশন অনুষ্ঠানের জন্য সম্মানসূচক এই আয়োজনটি এতদিন বিনোদন হিসাবে দেখা হলেও, কিছুদিন আগে থেকে তার সঙ্গে রাজনীতিও জড়িয়ে গেছে।
‘অ্যাপ্রেন্টিস’ অনুষ্ঠানের জন্য দুইবার মনোনয়ন পেয়েও পুরস্কার না পাওয়ায় একে রাজনীতির অনুষ্ঠান বলে বর্ণণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি ২০১২ সালে টুইট করেছিলেন, ‘অ্যামির পুরোটাই রাজনীতি, এ কারণেই…অ্যাপ্রেন্টিস জিততে পারেনি।’
বেশ কয়েকজন তারকা অভিনেতা গতবছর ট্রাম্পকে বেশ ব্যাঙ্গাত্মক জবাব দেন।
অনেকেই অপেক্ষা করছেন যে, এ বছর কি ঘটবে?
৩. ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠক
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা অস্ট্রিয়ার সলযবার্গে বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের জন্য এই বৈঠকটি একটি সুযোগ হিসাবে দেখা হচ্ছে, যেখানে তিনি ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইউরোপের অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারবেন।
উভয় পক্ষই বলে যাচ্ছে যে, আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে, কিন্তু একটি চুক্তির জন্য এখনো অনেক বিষয় বাকি রয়ে গেছে।
বিশেষ করে আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত, তথ্য সুরক্ষা এবং ইউরোপের কোর্ট অফ জাস্টিসের বিষয়গুলো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
৪. মারিয়ার এক বছর
পুয়ের্তে রিকোয় হ্যারিকেন মারিয়ার আঘাত হানার একবছর পূর্ণ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। এখনো ওই আঘাতের ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি দ্বীপ দেশটি।
পুয়ের্তে রিকো যুক্তরাষ্ট্রের একটি আন ইনকর্পোরেটেড টেরিটরি বা বিচ্ছিন্ন অঞ্চল, যার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকলেও, মার্কিন সংবিধান পুরোপুরি প্রযোজ্য হয় না।
ওই হ্যারিকেনের পর এখনো দ্বীপটিতে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। মাত্র গত মাসে সেখানে পুরোপুরি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
ওই ঝড়ে দ্বীপটিতে ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায় এবং একশো বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, এই বর্ষপূর্তিতে এই দ্বীপ দেশটি আবার সবার নজরে উঠে আসবে।