ডিসির পিয়ন সাধনা বললেন, স্যারের কোন দোষ নাই
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক:সদ্য ওএসডি হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ ও নারী অফিস সহকর্মী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনার আপত্তিকর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর তা কিছু সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ঘটনার পর থেকে ডিসি ও নারীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
তবে সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে জেলা প্রশাসকের অফিসে বোরখা এবং হিজাব পরিবর্তন করে হঠাৎ হাজির হন তিনি।
এ সময় তার হাতে একটি ছুটির দরখাস্ত দেখা যায়। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে অফিসে হাজির হলেও সাংবাদিকদের চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা।
আপত্তিকর ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এসব কিভাবে হলো আমি কিছুই জানি না। আমি বাঁচতে চাই, আমার সন্তানের জন্য আমাকে বাঁচান।
যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার চান কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সাধনা বলেন, আমি বিচার চাই তবে স্যারের কোনো দোষ নাই। এরপর সাধনা অফিসে একটি ছুটির দরখাস্ত দিয়ে চলে যান।
জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর ও অফিস সহকারী সানজিদা আফরিন সাধনার আপত্তিকর ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ডিসি আহমেদ কবীরকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে এবং মো. এনামুল হককে নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট বিকেলে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের একটি ফেসবুক পেজে ভিডিওটি শেয়ার করার পর তা ভাইরাল হয়ে যায়।
এদিকে, শুক্রবার ভোররাত থেকে রহস্যজনক কারণে ওই আইডির ওয়াল থেকে ভিডিও লিংকটি সরিয়ে নেয়ায় সন্দেহ আরো দানা বেঁধে উঠেছে।
ওই ভিডিওটিতে যে কক্ষটি দেখা যাচ্ছে সেটি জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের অফিস কক্ষে তার চেয়ারের ঠিক ডান পাশের ছোট একটি কক্ষ। ছোট এই কক্ষটিতে একটি ছোট খাট বসানো হয়েছে। কক্ষটি বেশ পরিপাটি দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটিতে পুরুষ ব্যক্তিটিই জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর। আর যে নারীকে দেখা যাচ্ছে তিনি এই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমেই সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া একই অফিসের অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা।
এমন ভিডিও প্রকাশ পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে, ভিডিওটি সাজানো দাবি করেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর।