যেসব কারণে শ্রবণশক্তি কমে যায়
দৈনিকসিলেটডেস্ক
একজন স্বাভবিক মানুষের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট শ্রবণ ক্ষমতা। বিশ্বে শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া মানষের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি যদি ৪০ ডেসিবেল আর শিশুরা যদি ৩০ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ শুনতে না পায় তাহলে তাকে শ্রবণ অক্ষম হিসেবে ধরা হয়। শ্রবণ ক্ষমতা হারানোদের অধিকাংশই নিম্ন ও নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মানুষ।
ধারণা করা হয়, ৬৫ বছর বয়সের পরে এক তৃতীয়াশ মানুষই শ্রবণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। দক্ষিণ এশিয়া, এশিয়া প্যাসিফিক এবং আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের মানুষদের মাঝে শ্রবণশক্তি হারানোর মাত্রা সবচেয়ে বেশি।
শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার কারণ
সাধারণত দুইভাবে শ্রুতিশক্তি কমে যায়। প্রথমত জন্মগত কারণে এবং পারিপার্শিক কারণ।
জন্মগত কারণ: একটি শিশু গর্ভাবস্থায় অথবা জন্মের সময় শ্রবণত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে। সাধারণত বাবা-মায়ের জেনেটিক কারণে এবং গর্ভাবস্থায় অথবা জন্মের সময় কিছু জটিলতার কারণে শ্রুতি শক্তি হারাতে পারে। যেমন-
> গর্ভাবস্থায় মাতৃ রুবেলা, সিফিলিস অথবা অন্য কোনো ইনফেকশনের কারণে হতে পারে।
> কম ওজন নিয়ে জন্মালে।
> জন্মের সময় অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে শ্বাসকষ্ট হলে।
> গর্ভের সময় নিদৃষ্ট কিছু ওষুধ যেমন, অ্যামিনোগ্লাইকোসাইডস, সাইটোঅক্সিক ড্রাগস, অ্যান্টিমেলারিয়াল ড্রাগস খেলে।
> জন্মের পর পরেই মারাক্তক জন্ডিসে আক্রান্ত হলে।
অর্জিত কারণ
পারিপার্শিক কারণে যেকোনো বয়সে শ্রুতিশক্তি হ্রাস পেতে পারে। পারিপার্শিক কারণগুলো হচ্ছে—
> ভাইরাস বা ব্যকটেরিয়ার মাধ্যমে মস্তিষ্কে মেনিনজাইটিস সংক্রমণ, হাম জাতীয়ে রোগের সংক্রমণ।
> দীর্ঘস্থায়ী কানের সংক্রমণ।
> কানে তরলজতীয় পদার্থ জমে থাকা।
> ম্যালেরিয়া, যক্ষা এবং ক্যানসার জাতীয় রোগের প্রতিরোধে অতিরিক্ত ওষুধের ব্যবহার।
> মাথা এবং কানে আঘাত পেলে।
> অতিরিক্ত শব্দ, যেমন পেশাগত কারণে যন্ত্রপাতির অতিরিক্ত শব্দ, হঠাৎ কোনো বিস্ফোরণ।
> অতিরিক্ত আওয়াজে অডিও ডিভাইসের ব্যবহার, দীর্ঘ সময় কনসার্ট, নাইটক্লাব, ক্রীড়া ইভেন্টে উপস্থিত থেকে উচ্চস্বরে শব্দ শ্রবণ।
> বার্ধক্য অবস্থায়, এ সময় বিশেষ সংবেদনশীল কোষগুলো কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।