রক্তে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে
দৈনিকসিলেটডেস্ক
রক্তে যে প্রোটিন আছে তার মধ্যে এ কোলেস্টেরল থাকে। রক্তের মাধ্যমে এটি শরীরে ঘুরে বেড়ায়।
এ প্রোটিনকে বলা হয় লিপো প্রোটিন।
এটা দুই রকমের- লো ডেনসিটি (কম ঘনত্বের) লিপোপ্রোটিন (এলডিএল) ও হাই ডেনসিটি (বেশি ঘনত্বের) লিপোপ্রোটিন (এইচডিএল)।
এলডিএল: এলডিএল বা লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনকে বলা হয় খারাপ কোলেস্টেরল। এ জাতীয় কোলেস্টেরল সহজেই মানবদেহের ধমনিগাত্রে জমা হতে পারে। এতে প্রোটিন কম ও ফ্যাট বেশি থাকে। কারো রক্তে এ ধরনের কোলেস্টেরল যত কম থাকবে, অ্যাথেরোসকেরেসিস, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও অন্যান্য জটিলতা থেকে তিনি তত বেশি রক্ষা পাবেন।
এইচডিএল: এইচডিএল বা হাইডেনসিটি লিপোপ্রোটিনকে কখনো বলা হয় ভালো কোলেস্টেরল। কারণ এ জাতীয় কোলেস্টেরল ধমনিগাত্রে কোলেস্টেরলকে জমাট বাঁধতে দেয় না। এর বেশির ভাগ উপাদানই হলো প্রোটিন, যার সঙ্গে খুব অল্প পরিমাণ চর্বি মিশ্রিত থাকে। এইচডিএল রক্ত থেকে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলকে সরিয়ে দিতে সহায়তা করে।
এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে রক্তে ভালো কোলেস্টেরল বাড়বে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমবে। এ খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নিন-
♦ যেকোনো রকমের ডাল বা ছোলা রোজ যদি এক কাপ খাওয়া হয়, তবে ২০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে।
♦ রসুনে থাকে অ্যামিনো এসিড, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। এগুলোর সংমিশ্রণ শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর হয়। প্রতিদিন অর্ধেক বা একটি রসুন খেলে খারাপ কোলেস্টেরল ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
♦ এক বাটি ওট মিল, লাল আটার রুটি ও সবজি, ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ মাছ ও বাদাম খারাপ কোলেস্টেরল ঠেকানোর জন্য ভালো।
♦ চায়ের মধ্যে গ্রিন টি খুবই ভালো। দিনে যদি দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি খাওয়া হয়, তাহলে খারাপ কোলেস্টেরল অনেকটাই আয়ত্তে থাকবে।
♦ খাদ্য তালিকায় রাখুন চিয়াসিড। এতে এলডিএলের মাত্রা কম থাকবে। এতে নানারকম অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড আছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী।
♦ সয়াবিনে আছে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ফাইবার ও প্রোটিন। প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে বিকল্প প্রোটিন হিসেবে নিয়মিত সয়াবিন গ্রহণ করায় প্লাজমা কোলেস্টেরলের পরিমাণ ২৩ থেকে ২৫ শতাংশ কমে।
♦ ডায়েটে বেগুনি রঙের ফল এবং শাক-সবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।