শাবিপ্রবিতে ক্যান্সার শনাক্তকরণ ল্যাবে অগ্নিকাণ্ড
দৈনিকসিলেট ডটকম :
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধীনে থাকা ক্যান্সার শনাক্তকরণ ল্যাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত ২টায় শিক্ষাভবন ‘এ’ এর নিচতলার ১২৭ নম্বর কক্ষের ‘নন লিনিয়ার অপটিক্স’ ল্যাবে আগুন লাগার এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. বেলাল হোসেন।
বজ্রপাতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়ে রাতে তিনি বলেন, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।পরিস্থিতি ঝুঁকিমুক্ত। পরবর্তীতে আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা এখন নেই। তবে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
নিরাপত্তাকর্মীদের ধারণা, রাতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রটি (এসি) চালু ছিল। এ সময় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাদের ধারণা।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শাহ আলম জানান, ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ইয়সামিন হকের নেতৃত্বে একদল গবেষক কম খরচে এবং শরীরে কোনো ধরনের যন্ত্রাংশ ব্যবহার ছাড়াই খুব সহজেই ক্যান্সার শনাক্তকরণ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছিলেন।
তখন থেকেই এই ননলিনিয়ার অপটিকস ল্যাবটি ক্যান্সার শনাক্তকরণ ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গবেষণার কাজে ল্যাবটি ব্যবহার করছেন বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ২টার দিকে তারা কয়েকজন গোলচত্বরের দিকে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে ভবনের ওই ল্যাবের জানালার দিকে আগুন দেখতে পান। এ সময় ভবনের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদেরকে অবগত করলে তারা জানালার কাচ ভেঙে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
তবে ল্যাবের দরজায় ডিজিটাল লক থাকায় তারা ভিতরে ঢুকতে পারেননি। খবর পেয়ে এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সিলেট জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল এসে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুই কক্ষের ল্যাবটির সামনের কক্ষে কয়েকটি কম্পিউটারের ডেস্ক রয়েছে। পেছনের কক্ষে ক্যান্সার ডিটেকশনের যন্ত্রপাতি দেখা যায়। অগ্নিকাণ্ডে সামনের কক্ষের একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র অর্ধেক পুড়ে গেছে। একটি বৈদ্যুতিক বাতি ও কয়েকটি তার পুড়েছে।
এ ছাড়া ল্যাবে থাকা একটি ডেস্কের অর্ধেক অংশও আগুনে পোড়া দেখা গেছে। তবে পেছনের কক্ষে থাকা যন্ত্রাংশের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “নিরাপত্তাকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি এখন বলা যাচ্ছে না। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বা কর্মকর্তারা দেখে বলতে পারবেন।”