শাবিতে অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

নুর আলম, শাবিপ্রবি :
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল গুলো জুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রেনেজের পর্যাপ্ত না থাকায় বৃষ্টি হলেই হরহামেশাই এই জলাবদ্ধতা দেখা যায় প্রতিনিয়ত। ভারী বৃষ্টি হলেই একাডেমিক কার্যক্রমের প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাড়ায় এ জলাবদ্ধতা। ফলে এসময় জলাবদ্ধতা শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসার পথ রুদ্ধ করায় ক্লাসও হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত দুইদিনের ভারী বৃষ্টি বর্ষণে শাহপরান হলের অভ্যন্তরীণে, ক্যাম্পাসের লাল টং, সবুজ টংয়ের সামনে, হ্যান্ডবল গ্রাউন্ড, শিক্ষাভবন এ, বি, ডি এর সম্মুখে, চেতনা-৭১ এর চারপাশ ও সত্যেন সুলতান চত্বর, ক্যাফেটেরিয়ার সামনে অংশ এবং বি বিল্ডিং থেকে ইউসি পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাসহ আশপাশের জায়গা গুলো পানিতে ডুবে গেছে। ফলে শিক্ষার্থী নিজেদের পরনের কাপড় ভিজিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত বছর বর্ষাতে বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা এভাবেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। এমনকি গতবছর বন্যাতে ক্যাম্পাস ডুবে যাওয়াই এক সপ্তাহ বন্ধ দিতে হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিব্রতকর পরিস্থিতির একবছর কেটে গেলে। অথচ প্রশাসন এই দীর্ঘ সময়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখেনি।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্যাম্পাস থেকে পানি নামার জন্য পর্যাপ্ত ড্রেনেজের ব্যবস্থা নেই। সীমিত পরিমাণ যে ড্রেন গুলো আছে সে গুলো দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করাতে ময়লা-আবর্জনা জমাটের কারণে সংকীর্ণ হয়ে গেছে। অধিকন্তু ‘ডি’ বিল্ডিংয়ের এক্সটেনশন ও নতুন ছাত্রী হল নির্মিত হওয়ায় এগুলো পানির নামার পথকে অনেকটা রুদ্ধ করে ফেলছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আপসারা হোসাইন হিমা বলেন, আমরা গতবছর পূর্বে ক্যাম্পাসে এই জলাবদ্ধতা দেখেনি। মনে হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিকল্পিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন এ সমস্যার জন্য দায়ী। এতে বৃষ্টির পানি অবাধে ছড়িয়ে পড়ছে ক্যাম্পাসে, তা থেকে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুর রহমান বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের দুই পাশে অনেক খালি জায়গা রয়েছে। তবে দুই পাশের পানি বের হওয়ার জন্য সে রকম ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ফলে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। তাই ক্যাম্পাসে যে কালভার্ট ও অভ্যন্তরীণ ড্রেন আছে তা আরও বাড়ানো দরকার। অন্যথায় দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি হতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান কে একাধিক বার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।