মস্কোতে ড্রোন হামলা, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল ব্যাহত
দৈনিকসিলেটডেস্ক
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে মস্কোতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার কারণে ভিনুকোভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়, এবং বিদেশ থেকে আসা বেশ কিছু বিমানকে অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হয়েছে।
ভিনুকোভা বিমানবন্দর মস্কোর তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি।
মঙ্গলবারের হামলায় পাঁচটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে বলে বলা হয়েছে। ভিনুকোভা বিমানবন্দর ছাড়াও মস্কোর আশেপাশের আরও কয়েকটি অবকাঠামো এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে সবগুলো ড্রোনই আকাশে ধ্বংস করা হয়েছে, এবং কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি ।
ইউক্রেন অবশ্য এখনও এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ভিনুকোভা বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামার ওপর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে তার আগে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিমানকে অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বলা হয়। এসব বিমানের মধ্যে তুরস্ক, ইউএই এবং মিশর থেকে আসা বিমান ছিল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, মস্কো অঞ্চলে চারটি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়। অন্যটি ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় অকেজো করা হলে সেটি বিধ্বস্ত হয়।
“এই হামলা কিয়েভের শাসকদের আরেকটি সন্ত্রাসী কাজ, কারণ তারা এমন জায়গা টার্গেট করেছে যেটি বিমানবন্দরের মত একটি বেসামরিক অবকাঠামো যেখানে বিদেশি বিমান ওঠানামা করে,”টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক পোস্টে লিখেছেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
রুশ সরকারি মিডিয়া বলছে, একটি ড্রোন বিধ্বস্ত হয় কুবিনকা শহরে যেটি ভিনুকোভা বিমানবন্দরের ৩৬কিমি দূরে।
আরেকটি ড্রোন ভিনুকোভা বিমানবন্দরের কাছে ভালুয়েভা নামে একটি গ্রামে গুলি করে ধ্বংস করা হয়।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর মস্কোতে ড্রোন হামলা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। মে মাসে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় আটটি ড্রোনের কারণে অল্প ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেটাই ছিল গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার রাজধানী লক্ষ্য করে প্রথম হামলা। তার আগে ক্রেমলিনের ওপর একটি ড্রোন হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে রাশিয়া ।
তবে কিয়েভ ঐ দুটো ঘটনারই দায় অস্বীকার করে।
ওদিকে সোমবার ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সুমিতে রুশ ড্রোন হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে তিন। আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা