সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন না হলে দেশে আইন থাকবে না: পরিকল্পমন্ত্রী

দৈনিকসিলেট ডটকম :
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন না হলে দেশে আইন থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কারও গোলাম নয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। সেই অভাবগ্রস্ত দেশকে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে।
বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর আদর্শ কলেজ মিলনায়তনে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, এদেশের মানুষকে গোলামির শৃঙ্খল পড়াতে একটি গোষ্ঠী বিদেশিদের নিয়ে এসে এসি রুমে বসে চা, স্যান্ডইউচ খেয়ে বলে- এদেশে আইন, গণতন্ত্র, ভোট নেই। তারা বলে রাতের আধারে ভোট হয়। এমন সব আজগুবি গল্প মানুষ এখন আর বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, নির্বাচনে আসুন, নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন না করলে দেশের সংবিধান, আইন কিছুই থাকবে না। মিথ্যাচার করে দেশের ১৮ কোটি মানুষকে বোকা বানানো যাবে না। তাঁরা ভোটের মাধ্যমে উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন এসরকারকে আবারও বিজয়ী করবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে। জনগণের ভোটে যারা বিজয়ী হবে তাঁরাই সরকার পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের প্রধান সমস্যা অভাব। এখনও তিনবেলা মানুষ পেট ভরে খেতে পারে না। এসব অভাবী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে জননেত্রী নিরসলভাবে কাজ করছেন। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিশুদ্ধ পানি, যোগাযোগব্যবস্থা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ সার্বিক উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। এ সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের জন্য আবারও আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হোসনের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সাইদুর হকের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- সুনামগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি সিদ্দিক আহমদ, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান, সুনামগঞ্জের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজ প্রমুখ।