মাধবপুরে মণ্ডপে হামলার ঘটনায় ৭ ব্যক্তিকে আদালতে সোপর্দ

মাধবপুর প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুরে পূজা মণ্ডপে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটককৃত ৭ ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ২৭ জনকে আসামি করে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মাধবপুরে সম্প্রীতি সমাবেশে সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের কঠোর হুঁশিয়ারি। পলাতক আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের জোরতৎপরতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) রকিবুল ইসলাম খান।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়া ইউনিয়নের রামেশ্বর গ্রামে অতিন্দ্র মল্লিকের বাসভবনে বিশ্বকর্মা পূজায় রাত ১০টা নাগাদ যখন গ্রামের নারীরা আরতি দিয়ে নৃত্য করছে তখন ইসলাম ধর্মাবলম্বী কিছু যুবক এসে নারীদের সঙ্গে নৃত্য শুরু করে এই নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে তারা পূজারীদের ওপর হামলা চালিয়ে বিগ্রহ (মূর্তি) ও পূজার প্যান্ডেল (পূজা মণ্ডপ) ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় রামেশ্বর গ্রামের রামপ্রসাদ সরকার (৩৪), সুজন সরকার (২১), শ্যামল সরকার (২৭), অঞ্জন সরকার (২২), গৌতম দাস (২১) নিবেশ সূত্রধর (৪৫), গোবিন্দ সরকার (২৭), পরিমল সরকার (৩০), হীরেন্দ্র সরকার(৩২), শ্যামল (৪৫), অয়ন বিশ্বাস (৭), বিকাশী মল্লিকসহ (২১) আরও ১৫ জন আহত হন। আহতদেরকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর আহসান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম খান ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থতি শান্ত করেন। বুধবার সকালে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক, দেবী চন্দ ও পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় এক সভায় তারা সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বুধবার বিকেলে মাধবপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর আহসানের সভাপতিত্বে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শাহজাহান, সরকরি কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ঘটনার দিন রাতেই ওই গ্রামের সফিক মিয়া (৫০) ইকবাল মিয়া, মধু মিয়া, হাফিজ মিয়া, সামেদ মিয়া, মোস্তফা মিয়া ও সিদ্দিক আলীকে আটক করে পুলিশ। তাদেরকে বৃহস্পতিবার সকালে হবিগঞ্জ জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।