ফ্যানে ঝুলছিল অভিনেত্রী হিমুর ম র দে হ
দৈনিকসিলেটডেস্ক
নিজ বাসা থেকে ফ্যানের হ্যাঙ্গারে ঝুলন্ত অবস্থায় টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তার নিথর দেহ রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।
আজ রাতে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জ্যোতির্ময় সাহা। তিনি বলেন, ‘অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর রুমে সিলিং ফ্যান ছিল না। ফ্যান লাগানোর ওই হ্যাঙ্গারে নাইলনের রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। পরে তার স্বজনরা উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ বর্তমানে উত্তরা আধুনিক কলেজ হাসপাতালে রাখা আছে।’
জ্যোতির্ময় সাহা বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা জানা যায়নি। আমরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানানো যাবে।’
এর আগে আজ বিকেলে অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম বলেন, ‘আজ বিকেলে হিমুকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এসময় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। তারা জানায়, হাসপাতালে আনার আগেই ওর মৃত্যু হয়েছে।’
নাসিম আরও বলেন, ‘আত্মহত্যা নাকি হত্যা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিকেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তার ছোট বোন মিহির ও প্রেমিক। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তার গলায় হালকা দাগ দেখতে পাওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার পুলিশ ডাকেন। ততক্ষণে হিমুর প্রেমিক তার ফোন নিয়ে পালিয়ে যান। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
উল্লেখ্য, হুমায়রা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। হিমু ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন এবং এ কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মঞ্চ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে পা রাখেন তিনি। ২০০৬ সালে টেলিভিশন নাটক ‘ছায়াবীথি’-তে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামে একটি টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেন। তারপর ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
ছোট পর্দার পাশাপাশি হিমু অভিনয় করেন সিনেমাতেও। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’র মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই সিনেমায় ‘অরু’ চরিত্রে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হন তিনি।