হবিগঞ্জে স্ত্রীর যৌতুক মামলা স্বামী গ্রেপ্তার
চুনারুঘাট প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বিয়ের ১৬ বছর পর স্ত্রীর যৌতুকের করা মামলায় স্বামী মো: ফরিদ আহমেদ (৪৫)কে গ্রেপ্তার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ফরিদ আহমেদ পৌর শহরের বাল্লারোডস্থ মৃত আনোয়ার আলীর পুত্র ।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরআগে সোমবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার উপপরিদর্শক এএসআই সুমন মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ নিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেন।
জানা যায়, ২০০৭ সালের ১১ মে পারিবারিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর উত্তর পাড়া এলাকার মৃত শাহজাহান৮ মিয়ার মেয়ে তানজিনা (৩৪) সঙ্গে বিয়ে হয় ফরিদ আহমেদের।১৬ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের ৫ ছেলে মেয়ে জন্মগ্রহণ করে এর মধ্যে ৩ সন্তান জমজ। বিয়ের পর কয়েকটা বছর সুখে শান্তিতে অতিবাহিত হলেও ৩ বছর যেতে না যেতেই যৌতুকের জন্য স্বামী ফরিদ আহমেদ তার স্ত্রী তানজিনাকে ভরণপোষণ না করে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলো।সন্তানদের সুখের কথা চিন্তা করে যৌতুক লোভী স্বামী ফরিদ আহমেদকে তানজিনার পরিবার থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১০ লাখ টাকাও দেয়া হয়। কিন্তু টাকা দেয়ার পরও নির্যাতন কমেনি বরং বেড়েছে।
গত ১ অক্টোবর যৌতুকের টাকার জন্য ছেলে মেয়ে সহ তানজিলাকে বের করে দেয় ফরিদ আহমেদ।এরপর থেকে তানজিলা তার বাবার বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলো।এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় মুরুব্বিদের নিয়ে সমাঝোতার জন্য একাধিকবার বিচার-সালিশীও হয়। কিন্ত কোনভাবেই সমাঝোতা হয়নি।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক জানান, যৌতুক বিরোধ আইনের ৩ ধারায় ফরিদ আহমেদের স্ত্রী তানজিনা বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফরিদ আহমেদ, তার মা মোমেনা খাতুন ও ভাই মাসুদ আহমেদের নামে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তার মায়ের সমন জারি করলেও স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়াও ফরিদ আহমেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার ৪টি মামলা রয়েছে এবং একটি মামলায় গত এক মাস পুর্বে কারাভোগ করেন।