গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
দৈনিকসিলেটডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৩ সদস্য শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের উত্থাপিত একটি সংক্ষিপ্ত খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য। একই প্রস্তাবে ভেটো প্রদান করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে উত্থাপিত প্রস্তাবের বিষয়টি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আটকে দেয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ৫ সদস্যের ভেটো প্রদানের ক্ষমতা রয়েছে। ওই ৫ সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যও যদি কোনো প্রস্তাবে ভেটো প্রদান করে তবে সেই প্রস্তাবটি আর পাস হয় না। ভেটো প্রদানের ক্ষমতাসম্পন্ন ৫টি সদস্য রাষ্ট্র হলো- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্স।
বুধবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুই মাসব্যাপী যুদ্ধের বৈশ্বিক হুমকির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের কাউন্সিলকে সতর্ক করার পর বিরল পদক্ষেপ হিসেবে এ ভোটের প্রস্তাব আসে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন উপ-রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেছেন, যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে একটি টেকসই শান্তিকে সমর্থন করে যেখানে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন উভয়েই শান্তি ও নিরাপত্তায় বসবাস করতে পারে। তকে আমরা এ মুহূর্তে যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে সমর্থন করি না।
তিনি আরও বলেন, এটি শুধুমাত্র পরবর্তী যুদ্ধের বীজ রোপণ করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করে কারণ তারা বিশ্বাস করে যে এটি শুধুমাত্র হামাসকে উপকৃত করবে।
আল জাজিরার কূটনৈতিক সম্পাদক জেমস বেস বলেছেন, জাতিসংঘের সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গুতেরেসের এ আহ্বান বিরল ঘটনা। গুতেরেস আগে এটি করেননি। প্রকৃতপক্ষে, আনুষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের আহ্বান ১৯৮৯ সাল থেকে ঘটেনি। সিরিয়া, ইয়েমেন বা ইউক্রেনের ক্ষেত্রে এমন আহ্বান করা হয়নি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেছেন, তার দেশ হামাসের হামলার কোনো নিন্দা প্রস্তাব না থাকায় তার দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। ইসরায়েলকে হামাসের হুমকি মোকাবিলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে করা দরকার। যাতে এ ধরনের হামলা আর কখনও না হয়।
শুক্রবার গভীর রাতে জারি করা এক বিবৃতিতে হামাস মার্কিন ভেটোর কঠোর সমালোচনা করে বলেছে তারা ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপকে অনৈতিক ও অমানবিক বলে মনে করে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান এক বিবৃতিতে বলেছেন, সব জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা এবং হামাসের ধ্বংসের মাধ্যমেই যুদ্ধবিরতি সম্ভব হবে।
সূত্র: আল জাজিরা